নিজস্ব প্রতিনিধি:   স্কুলের সামনে থেকে নিখোঁজ দ্বিতীয় শ্রেণির দুই ছাত্র। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার বালিতে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ঘনীভূত হচ্ছে থাকে রহস্য। অপহরণ, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও উদ্দেশ্য, তদন্তে নেমে হাতড়াচ্ছে পুলিসও।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মতো স্কুলে গিয়েছিল বেলুড় সানশাইন স্কুলের ছাত্র গৌরব দে ও ঋদ্ধি মুখোপাধ্যায়। ছুটির পর একসঙ্গেই স্কুল থেকে বের হয় তারা। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি কেউ। নির্দিষ্ট সময়ের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই ছাত্রের উদ্বিগ্ন পরিবার। প্রাথমিকভাবে স্কুলের তরফে শুরু হয় খোঁজ। স্কুলের সামনের গেটের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। দেখা যায় নিশ্চিন্দার বাসিন্দা গৌরব দে ঋদ্ধির কাঁধে হাত দিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। এরপর তারা কোথায় গেল জানতে পারেনি পরিবার। খবর দেওয়া হয় পুলিসে।


আরও পড়ুন: বিনিয়োগ টানতে বাণিজ্য নগরীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


পুলিস জানতে পারে,  নিশ্চিন্দার বাসিন্দা রঞ্জিত দে-র দত্তক সন্তান গৌরব। বকাবকি করায় চার মাস আগেও বাড়ি থেকে একবার পালিয়ে গিয়েছিল সে। তখন হাওড়া স্টেশন চত্বরে বোতল তৈরির কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিল ছেলেটি। সেইসময় গীতা নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয়ও হয় গৌরবের। গীতাকে মাসি বলত সে। কারখানায় কাজ করার সময়ে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল গৌরব। তাকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্ধার করে হোমে নিয়ে যায়। পরিবার খোঁজ পেয়ে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে এনে চিকিত্সা করায়।


গৌরবের এই কাহিনী জানার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিস। হাওড়া স্টেশন চত্বরে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। সেখান সাবওয়েতে দুই ছাত্রের স্কুলব্যাগ পাওয়া যায়। স্কুলে সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সেখানেও পুলিসের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, স্কুলের সামনে থেকে গৌরব ঋদ্ধিকে নিয়ে একটি টোটোতে ওঠে। সেই টোটোতে এক মহিলাও ছিলেন। এই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস। এই মহিলাই গীতা নাকি, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঋদ্ধির পরিবারের অভিযোগ, তাদের সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পিছনে একটি চক্র কাজ করছে বলে মনে করছে পুলিস।    


আরও পড়ুন:  হেলমেটবিহীন বাইক আরোহীর কাছে ৫,০০০ টাকা দাবি সিভিক ভলান্টিয়ারের