নিজস্ব প্রতিবেদন: মহম্মদ বাজার থানা এলাকার বাতাসপুর গ্রামে গত সপ্তাহ থেকে বিদ্যুৎ কর্মী সেজে একটি চক্র ঘোরাঘুরি করছিল। বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘুরে তারা জোর করে সেই সমস্ত বাড়ির মালিকদের হুকিং এবং অন্যান্য অজুহাতে লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। বাড়ির মালিকদের অভিযোগ কোনও রকম অন্যায় কাজ না করা সত্ত্বেও ঐ সমস্ত কর্মীরা তাদের জোর করে জরিমানা করতে থাকে। জরিমানার অঙ্ক বিশাল হওয়ায় বাড়ির মালিকরা হাতে পায়ে ধরলে লক্ষ লক্ষ টাকা দাঁড়ায় মাত্র কয়েক হাজার টাকায়। সেই টাকা হাত পেতে নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে ২ প্রতারক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- স্কুল বাঙ্ক করে মদের আসর, সোশ্যাল মিডিয়ায় নগ্ন নাচের ভিডিয়ো পোস্ট পড়ুয়াদের!


সোমবার ওই ২ জনকে স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরলে জানা যায়, আসলে এরা ঘুষ নেওয়ার একদল বড় চক্র। যে চক্রে জড়িত রয়েছে সিউড়ি ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন অফিসারও। এমনই দাবি স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি তাপস সিনহার। তিনি বলেন, “বেশ কয়েকদিন থেকে এরকম একটি চক্র আমাদের এই মহঃবাজার এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তাদের কাজ ছিল এলাকায় যারা হুকিং করছে তাদের ধরা। এই কাজে তারা বেশ কয়েকজনকে জরিমানাও করে এবং জরিমানা হওয়া লোকেরা জরিমানা মিটিয়েও দেয়। কিন্তু এরা কী করছিল? বিভিন্ন মানুষকে জরিমানা কম করিয়ে দেওয়ার জন্য ভয় দেখিয়ে দাবি করছিল ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এইভাবে ঘুষ নেওয়ার একটি চক্র কাজ করছিল কয়েকদিন ধরে। সেরকমই বাতাসপুরের এক বাড়িতে তারা হুকিং করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। তারপর সেই জরিমানার টাকা ৪০ হাজার টাকা দিলে মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা। দর কষাকষি করতে করতে সেই টাকা দাঁড়ায় মাত্র ৬ হাজার টাকায়। তারপর সেই টাকা যখন ওই বাড়ির মালিক দিতে যায় তখন ওই বিদ্যুৎ কর্মীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে এলাকার বাসিন্দারা।"


আরও পড়ুন- ৩ বছরও ঘর করতে পারল না! খড়দহে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ


এলাকাবাসীদের বক্তব্য এরকম একটি চক্র বেশ কয়েকদিন ধরেই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল এবং ঘুষ নিয়ে সবকিছু ছাড়পত্র দিচ্ছিল। সেই ঘুষ নেওয়া কর্মীদের আজ ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।