ভবানন্দ সিংহ: পুলিসের সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। বোমাবাজিতে মৃত্যু হল এক সিভিক ভল্য়ান্টিয়ারের। গতকাল সন্ধেয় ইসলামপুরের দক্ষিণ মাটিকুন্ডা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তির ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় থানায় এসে দল ও নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ইসলামপুরের বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণের এই দুই জেলায়,  ভিজবে কি কলকাতা?


মৃতের ভাই আবদুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। পরিবারের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই প্রাণ হারিয়েছে সিভিক ভল্য়ান্টিয়ার সাকিব আখতার। ঘটনার পেছনে রয়েছে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল গোষ্ঠী। এনিয়ে কানাইয়ালালের কোনও বিবৃতি পাওয়া য়ায়নি।


নিহত সিভিক ভল্যান্টিয়ারের এক প্রতিবেশী বলেন, ডিউটি শেষ করে রাতে বাড়িতে খাবার খাচ্ছিল। মাটিকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও তার দলবল ঘরে ঢুকে বোমা মেরে দিয়েছে। মাথায় বোমা বোমা লেগেছে। প্রধান কানাইয়ালালের অনুগামী। আর সাকিব আখতার করিম চৌধুরীর অনুগামী। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বহুদিনের। সাকিবের ভাই শাহনাওয়াজ করিম চৌধুরীর গোষ্ঠীর লোক। সাকিব কোনও দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সন্ধে থেকেই ঝামেলা চলছিল। সকিবের বাড়ির সামনে পুলিসও ছিল। তার মধ্য়েই বোমা মেরে দেওয়া হয়। 


ঘটনার পর থানায় এসে কানইয়ালালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, গোটা সংগঠনটা ও হাতে নিয়ে নিয়েছে খুনখারাপি করার জন্য। সব জায়গায় সন্ত্রাস বেড়ে গিয়েছে। মানুষজন ভয় পেয়ে গিয়েছে। পুলিস ভয় পেয়ে গিয়েছে। এসপিকে বললাম, ইস্তফা দিন। এগারো বারের বিধায়ক আমি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলছে আমার কোনও দাম নেই। যারা সন্ত্রাস করছে তাদের না আটকে আমাকে বলছে বৈঠক করা জন্য! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, ২ দিনের মধ্যে যদি এই খুনের বিরুদ্ধে ও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন তাহলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেব।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)