অরূপ লাহা: গত কয়েক দিন ধরেই একের পর এক ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানির খবর আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, একই ছবি সব জায়গায়। এবার বর্ধমান। এক পৌঢ়াকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযাগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। ওই ঘটনায় ক্ষোভ ফুঁসছেন এলাকার মানুষজন। পুলিস ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কাজল শেখের সঙ্গে 'চায়ে পে চর্চা', কেষ্টর সঙ্গে ঠান্ডা লড়াইয়ে পদ হারালেন তৃণমূল নেতা!


রবিবার খুব ভোরে ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার জন্য বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন আনুমানিক ষাট বছরের এক প্রৌঢ়া। রাস্তায় একটি সাঁকোয় বসেছিল ২ মদ্যপ। তারা ওই মহিলার পথ আটকায়। এরপর তাকে ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে প্রথম একটি বাঁশবাগানে ও পরে একটি পুকুর পাড়ে থাকা ঘরের বারান্দায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই দুই যুবক। মহিলার চিত্কারে ওই পুকুরে যারা মাছ চাষ করতেন তারা ছুটে আসেন। ভয়ে পালিয়ে যায় এক যুবক। অন্যজনকে ধরা পড়ে যায়। পরে পলাতক যুবককেও ধরে ফেলে পুলিস। ধৃত দুই যুবকের নাম সদানন্দ মালিক ও অর্ঘ্য ধাড়া।


ধৃত দুজনকে সোমবার আদালতে তোলা হবে। তবে এদিনই নির্যাতিতার মেডিকেল টেস্ট করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমরা পুলিস প্রশাসনের ভরসা রাখি। তাইু ধৃতদের আমরা মারধর করিনি। আমরা নিজের হাতে আইন তুলে নিইনি। তবে প্রশাসন যদি এই ঘটনার পর সজাগ না হয়, তাহলে তার পরিণাম ভালো হবে না। তারা দাবি করেন বারে বারে পুলিস প্রশাসনের এলাকার নেশার ঠেক ভাঙার জন্য বলা হলেও পুলিস সেই বিষয়ে সক্রিয় নয়।


কল্যাণ হাজরা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, গ্রামেরই এক বয়স্ক মহিলা দ্বিতীয়ার জন্য পাশের গ্রামে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় একটি সাঁকোতে বসে দুই মদ্যপ ওই মহিলাকে একা পেয়ে তাকে টানতে টানতে একটি বাঁশ বাগানে ও পাশের একটি পুকুরের পাড়ে একটি চালা ঘরে নিয়ে গিয়ে তার উপরে অত্যাচার করে। মহিলার চিত্কারে যারা পুকুর চাষ করে তারা ছুটে আসেন। দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে একজনকে ধরে ফেলে। অন্যজন পালায়। এরপর পুলিসে খবর দিলে পুলিস এসে মহিলাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যায়। পাশাপাশি ওই দুষ্কৃতীকেও নিয়ে যায়। পরে যে পালিয়ে গিয়েছিল তাকে পুলিস তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। মহিলার বয়স আনুমানিক ষাট বছর। ভোর বেলা বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন ভাইফোঁটা দিতে। গত ৬ মাসে মেমারিতে অনেকগুলো এরকম ঘটনা ঘটল। এলাকায় মদ গাঁজার বহু আড্ডা হয়ে গিয়েছে। এটা যদি বন্ধ করা না যায় তাহলে এই দুষ্কর্ম থামবে না। নেশার ঠেক গুঁড়িয়ে দিক পুলিস। গ্রামের মানুষ উদ্বিগ্ন।


তুহিন কোনার নামে এক ব্যক্তি বলেন, এখানে রাস্তায় প্রতিটি কালভার্টে মদের ঠেক বসে। এখান দিয়ে আমার মেয়ে একা ফের। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। পুলিস নিরাপত্তা দিক। তা নইলে বলুক পারব না। মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। মানুষ জানে কীভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)