নিজস্ব প্রতিবেদন: পামেলা কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই। ধৃত ফারহান আহমেদ ও দইম আখতার দু-জনই মাদক পাচারকারী। পুলিস সূত্রে খবর, ফারহানের থেকেই মাদক কিনে রাকেশকে সরবরাহ করত ধৃত অমৃতা সিং। ফারহান সেই মাদক আনত দইমের থেকে। ফারহানের কাছ থেকে দশ গ্রাম কোকেনের ছোট ছোট পাউচও মিলেছে। পাবে যাতায়াতের সূত্রে অমৃতার সঙ্গে পরিচয় হয় ফারহানের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল পামেলাকাণ্ডে (Pamela Goswami) গ্রেফতার করা হয় একজনকে। সোমবার রাতে অমৃতা সিং (Priyanka Singh) ওরফে সুইটি নামে ওই মহিলাকে সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, পেশায় মডেল সুইটি নিয়মিত নাইটক্লাবে যেত। শহরের বেশ কিছু নাইক্লাবের ডিজেদের সঙ্গে তার পরিচয়ও ছিল। 


পুলিসের দাবি, জেরায় প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ, ওই ডিজেদের থেকে এবং অন্যান্য মাদক পাচারচাকারীদের কাছ থেকে  প্রতি সপ্তাহে মাদক কিনত সুইটি। গ্রাম পিছু ৯৫০০ টাকায় মাদক কিনত সে। তারপর সেই মাদক সুইটি বিক্রি করত  রাকেশ সিং-কে। ওই বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে রাকেশ সিং কী করত তা জানতে সুইটিকে জেরা করছে পুলিস। 


লালবাজার সূত্রের খবর, বিজেপি নেত্রীর গ্রেফতারির দু'দিন আগে সন্দীপ আগরওয়াল নামে এক জনৈকের কাছ থেকে একটি মেল পান কলকাতা পুলিসের এক শীর্ষপদস্থ কর্তা যেখানে বলা হয় কোনো এক মহিলাকে কোকেন পাচারের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় চক্রান্ত চালাচ্ছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। এরপরই মাদক সমেত পুলিশের জালে ধরা পড়ে পামেলা গোস্বামী। তবে কি পরিকল্পনামাফিক ফাঁসানো হয়েছে পামেলাকে? উঠছে প্রশ্ন।


এদিকে সোমবার রাতেই রাকেশ সিং-কে মাদক পাচারের অভিযোগে সল্টলেক থেকে গ্রেফতার হয় অমৃতা সিং ওরফে সুইটি। জানা গিয়েছে, মেল প্রেরক ঐ সন্দীপ আগরওয়াল আদতে সুইটির স্বামী। সম্প্রতি রাকেশ সিং কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।