নিজস্ব প্রতিবেদন: ১০ দিন বাদে বর্ধমানের  সিভিক ভলেন্টিয়ার খুনের কিনারা করল পুলিস। ঘটনায় মৃতের কাকা-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম বিপ্লব ঘোষ, রাজু মুণ্ডা ও মানবেন্দ্রনাথ চাকি। ধৃতদের জেরা করে পুলিসের হাতে উঠে এসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ঘোলার সেই ভস্মীভূত প্লাস্টিক কারখানা থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ৫ শ্রমিকের দেহাবশেষ


জানা গিয়েছে, পারিবারির সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে বর্ধমানের রথতলা এলাকার বছর  ৩৭-এর রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। এই ঘটনায় উঠে এসেছে তাঁর কাকা বিপ্লব ঘোষের নাম। সে রবীন্দ্রনাথের বন্ধু  রাজু ও মানবেন্দ্রনাথের সঙ্গে খুনের ছক কষে। ঘটনার দিন অর্থাত্ ৪ ফেব্রুয়ারি, পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার রবীন্দ্রনাথকে বাড়ির অদূরে কথা বলার জন্য ডেকে পাঠায় রাজু ও মানবেন্দ্র। রাজু যখন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কথা বলছিল। তখন অতর্কিতে মানবেন্দ্রনাথ হাতুড়ি দিয়ে রবীন্দ্রনাথের মাথায় আঘাত করে। এরপর দেহ ফেলে দেওয়া হয়  বর্ধমানের রথতলা ক্যানেলে।


আরও পড়ুন: বিজেপির কর্মীর বাড়িতে ঢুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মেয়েকে ‘অপহরণ’


পুলিস জানতে পেরেছে, এই খুনের মাস্টারমাইন্ড রবীন্দ্রনাথের কাকা বিপ্লব। সে রাজু ও মানবেন্দ্রকে খুনের সুপারি দিয়েছিল। কত টাকার সুপারি দিয়েছিল, তা এখনও পরিস্কার নয়। প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের রথতলা ক্যানেল থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের দেহ উদ্ধার হয়।


ঘটনার আগেরদিন দুপুরে কাজে বেরোন রবীন্দ্রনাথ।  বিকালে তাঁর স্ত্রী মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। রবীন্দ্রনাথের মোবাইল বন্ধ ছিল। রাতেও নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি বাড়ি না ফেরার পরিবারের তরফে খোঁজ শুরু হয়। রাতভর চলে তল্লাশি। সকালে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রাই রথতলা ক্যানেল থেকে রবীন্দ্রনাথের দেহ উদ্ধার করেন। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নামে। পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।