ওয়েব ডেস্ক: চমকদার প্যাকেট। স্বাদও তোফা। মুখে দিলেই জিভে জল। কিন্তু প্যাকেটবন্দি এই সব চিপসের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর বিপদ। নদিয়ার নবদ্বীপ শহরের স্টেশন লাগোয়া একটি চিপস নির্মানকারী সংস্থার গুদামেই ঢুঁ মেরেছিলাম আমরা। ঢুকে যা চোখে পড়ল তাতে তো চক্ষু  ছানাবড়া। গুদামের ভেতর নামী কোম্পানির বাতিল চিপসের বস্তা।  তারপর চোখে পড়ল নেতানো চিপসকে সেঁকে ভেজে ফের  কুড়মুড়ে করার কাজ। এরপর সেই চিপসে মেশানো হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মশলা। মশলা মেশানোর পর বাতিল সেই চিপসকেই ফের নতুন করে প্যাকেট বন্দি করে ফেলা হচ্ছে।  কিন্তু এই সব অস্বাস্থ্যকর চিপস খেয়ে থেকে তো ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। 


বাতিল চিপস প্যাকেট বন্দি  হয়ে নয়া মোড়কে পৌছে যাচ্ছে নবদ্বীপের বাজারে। মেঝেতে ফেলা চিপসে মিশছে নোংরা ধুলো। মেশানো হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মশলা। অন্ধকার ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডাঁই করে রাখা হচ্ছে বস্তার পর বস্তা বাতিল চিপস। নামী কোম্পানির ফেলে দেওয়া এই সব বাতিল চিপসই ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে কিনে আনেন ব্যবসায়ী। তারপর ঝাড়াইবাছাই। ড্যাম্প চিপসে অস্বাস্থ্যকর মশলা মিশিয়ে চলে রিপ্যাকেজ। এই সব চিপসের প্যাকেট কতটা স্বাস্থ্যকর? গুণমান ঠিক রয়েছে কিনা তাকি কোনও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হয়? ল্যাব তৈরি বিশাল খরচের ব্যাপার, তাই জেনে শুনেও অস্বাস্থ্যকর চিপসই প্যাকেটবন্দি করছেন উনি।