নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র কিছুক্ষণ। তার মধ্যেই এক মহিলার জীবনে নেমে এল চিরকালের অন্ধকার। তিনি একসঙ্গে হারালেন তাঁর স্বামী ও সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহিলার নাম তানিয়া ঘোষ। বছরসাতেকের ছেলের স্কুলের বই আনতে বাড়ি থেকে কিছুক্ষণের জন্য বেরিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন, ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বারবার ডাকাডাকি করেও কারও কোনও সাড়া না পেয়ে লোকজন ডাকাডাকি করেন তিনি। অনেকেই এসে জড়ো হন। অবশেষে তাঁরা দেখতে পান, দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন তানিয়ার স্বামী উত্তম। ঘরে ঢুকে সকলে দেখেন খাটের উপর ছেলেটি অসুস্থ অবস্থায় পড়ে। স্থানীয়রা উত্তম ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।


পুলিসে খবর দেওয়া হয়। হাবরা থানার পুলিস এসে প্রাথমিক কিছু তদন্ত চালায়। পুলিসের অনুমান, উত্তম সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পরে নিজে আত্মঘাতী হন। দেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত (barasat) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   


ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবরার (habra) শ্রীনগর এলাকায় উত্তম ঘোষ নামে বছর ৩৮-এর ওই ব্যক্তি স্ত্রী-ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে থাকতেন। বৃহস্পতিবার এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে পরিবারের অন্য সদস্যরা সেই আত্মীয়ের বাড়ি যান। উত্তমরা যাননি। তারপরই এই ঘটনা। এর জেরেএলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়।


Also Read: চাকরিহীন কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১০ বছর, কেউ কথা রাখেনি