নিজস্ব প্রতিবেদন: এক থালা মিষ্টি সামনে রাখা, ভাই বসে আছে হাসিমুখে; আর বোন আঙুলে চন্দন নিয়ে ফোঁটা আঁকছে ভাইয়ের কপালে। সামনে রাখা ধান-দুব্বো-দই-চন্দন; জ্বলছে ধূপ ও প্রদীপ। বোনটি বিড়বিড়ও করছে কিছু একটা। যে কোনও ধরনের ধর্মীয় ছোঁয়াচ বাঁচানো আদ্যন্ত এক সামাজিক অনুষ্ঠান এই ভাইফোঁটা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাইফোঁটার পোশাকি নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কখনও সখনও এটি শুক্লপক্ষের ১ম দিনেও উদযাপিত হয়। পশ্চিম ভারতে এই উৎসব 'ভাইদুজ' নামে পরিচিত। সেখানে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিনে। মহারাষ্ট্র, গোয়া ও কর্ণাটকে ভাইফোঁটাকে বলে 'ভাইবিজ'। নেপাল ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-সন্নিহিত পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত 'ভাইটিকা' নামে। সেখানে বিজয়াদশমীর পর এটিই সব চেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসবের আর একটি নাম যমদ্বিতীয়া।


আরও পড়ুন: Jhargram: কালীপুজোর দিনে হাতির হামলা, প্রাণ গেল যুবকের


কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম তাঁর বোন যমুনার হাত থেকে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর বধ করার পরে কৃষ্ণ সুভদ্রার কাছে এলে সুভদ্রা কৃষ্ণের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দিয়েছিলেন। সেটাকেই নাকি প্রথম 'ভাইফোঁটা' ধরা হয়, আর তার পর থেকেই ক্রমে এই উৎসবের প্রচলন।


ভাইফোঁটার দিন বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে একটি ছড়া কাটে। চন্দন কাঠ জলে ঘষে (কেউ কেউ চন্দন কাঠের সঙ্গে দইও মেশায়) তা অনামিকায় নিয়ে ভাইয়ের কপালে তিনবার ফোঁটা দেয় আর বলতে থাকে-- ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা/ যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।/ যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা,/ আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা। কথিত আছে, যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়ে যম অমর হয়েছিলেন। বোনেরা তাই ফোঁটা দিয়ে ভাইকে অমর করতে চায়। 'অমর' মানে, সত্যিই তো আর অমর নয়, তারা ভাইয়ের সুস্থ সুন্দর দীর্ঘজীবন কামনা করে।


পশ্চিম ভারতে ভাইবিজ একটি বর্ণময় অনুষ্ঠান। মহারাষ্ট্রে মেয়েদের ভাইবিজ পালন অবশ্যকর্তব্য। যেসব মেয়েদের ভাই নেই, তাদেরও ভাইবিজ পালন করতে হয়। তারা চন্দ্র দেবতাকে ভাই মনে করে ভাইবিজ পালন করে।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Covid: করোনবিধি উপেক্ষা করেই কালীপুজোর মাঠে বসল মেলা, প্রশ্ন সব মহলেই