বিমল বসু: চিকিত্সকের কাছেই নিরাপদ নন রোগী। চিকিত্সা করাতে আসা গৃহবধূকে অচৈতন্য করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক গ্রাম্য চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ছবি তুলে গৃহবধূর কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠল ওই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ওই অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদের বরুনহাট গ্রামের এক গ্রাম্য চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। ওই চিকিত্সককে গ্রেফতার করল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'৩৪ বছর গদিতে থেকে উনি কোলকেও চেয়ার ভাবেন!'


গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী নূর আলম সর্দার নামে ওই চিকিত্সকের কাছে চিকিত্সা করাতে যান। তখন ওই চিকিত্সক বলেন, ইঞ্জেকশন নিতে হবে। স্ত্রী বলেন, ট্যাবলেট দিতে। কিন্তু চিকিত্সক বলেন ইঞ্জেকশন দিলে তাড়াতাড়ি রোগ সেরে যাবে। ওই কথা শুনে ইঞ্জেকশন নিতে রাজি হয়ে যায় স্ত্রী। ওই ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর পর তার মাথা ঘুরতে থাকে। পরে জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরলে দেখেন তাঁর শরীরে কোনও পোশাক নেই। এনিয়ে শোরগোল শুরু করে দেন তিনি।


এদিকে, গৃহবধূ চিত্কার শুরু করতেই ওই চিকিত্সক তাকে বলেন, গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তোলা রয়েছে। এনিয়ে হইচই করলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো আপলোড করে দেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়, ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা আদায় করা হয় গৃহবধূর কাছ থেকে। এমনটাই অভিযোগ গৃহবধূর স্বামীর। এর পরই পুলিসে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিস ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে ও তার ডাক্তারখানা বন্ধ করে দেয়। আজ ওই চিকিৎসককে ৫ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)