নিজস্ব প্রতিবেদন : গ্রামের হাটে দাঁড়িয়ে পরিচিত যুবকের সঙ্গে গল্প করেছিলেন এক গৃহবধূ। সেই 'অপরাধে' ওই গৃহবধূর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর উপর মধ্যযুগীয় নির্যাতন চালাল গ্রামের মাতব্বরেরা। বেধড়ক মারধরের পর গৃহবধূর মাথার চুল কামিয়ে দেওয়া হল। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর খানাকুলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খানাকুলের ধরমপুরের বাসিন্দা শেখ নাসির মল্লিক। কাজের সূত্রে তিনি কলকাতায় থাকেন। দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন তাঁর স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে খানাকুলের রাজহাটিতে যান। সেখানেই পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। হাটের মধ্যেই ওই যুবকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেন নাসিরের স্ত্রী। আর সেই মুহূর্তেই ওই হাটে উপস্থিত জনৈক সেই ছবি তুলে এলাকায় ছড়িয়ে দেয়।


অভিযোগ, এরপরই ওই গৃহবধূর বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামের মাথারা। ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর 'পরকীয়া' রয়েছে, এই অভিযোগে ওই গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে চলে অমানবিক নির্যাতন। বেধড়ক মারধরের পর ওই গৃহবধূর মাথার চুলও কামিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে 'সবক' শেখানোর পালা। এই পুরো ঘটনার ভিডিও করা হয়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন, সম্পর্কে টানাপোড়েন, কোন্নগরে ভরসন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে গুলি করে খুন স্বামীর


এই ঘটনায় ভয়ে প্রথমে চুপ করেই ছিলেন ওই গৃহবধূ। পরে গতকাল রাতে খানাকুল থানার দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ। কিন্তু অভিযোগ, পুলিসও প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার করে। পরে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দায়ের হয় এফআইআর। এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আরামবাগের এসডিপিও কৃশানু রায়। তবে, অভিযুক্তরা এখনও অধরা।