লাভপুরে ৫ কিমি মাটির রাস্তায় এখনও এভাবেই চলাচল করেন ২ গ্রামের মানুষ
স্কুল ছাত্রী অঙ্কিতা বাগের বক্তব্য, এই রাস্তাকে নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা বহুদিনের। সমস্যা বেশি জল হলে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকার বদল হয়েছে। বদল হয়নি লাভপুরের লাভপুরের জয়চন্দ্রপুর ও চতুর্ভুজ পুরের মানুষের জীবন। পাকা রাস্তা নেই। বর্ষাকালে মাটির রাস্তায় এক হাঁটু কাদা পেরিয়ে উঠতে হয় পাকা রাস্তায়। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তো মাথা হাত। খাটিয়া করে খাল পেরিয়ে ৫ কিলোমিটার পথ পার করে আনতে হয় শহরে।
আরও পড়ুন-পচন ধরছে সারা শরীরে, পুকুর থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত-র দেহ
এই বর্ষায় মাটির রাস্তার বেহাল অবস্থা। ওই ৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে থাকা বিল ঢুবে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। নৌকো ছাড়া উপায় নেই। স্কুল-কলেজ যেতে নাজেহাল পড়ুয়ারা। জুতো হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে হয়। অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার তো কোনও প্রশ্নই নেই।
স্কুল ছাত্রী অঙ্কিতা বাগের বক্তব্য, এই রাস্তাকে নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা বহুদিনের। সমস্যা বেশি জল হলে। পায়ে হেঁটে স্কুল কলেজ যেতে হয় এই রাস্তা দিয়েই। বেশি বৃষ্টি ও বন্যা হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন স্কুল-টিউশনি যেতে পারি না।
আরও পড়ুন-NEET 2021 Exam: পরীক্ষার দিন সংশোধন করবে NTA, মেডিকেল পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
গ্রামবাসী সন্তোষ মন্ডল জানান, এই রাস্তা যদি তড়িঘড়ি না করে দেওয়া হয় তাহলে জয় চন্দ্রপুর ও চতুর্ভুজ পুরের কোনও গর্ভবতী নারী বা কেউ অসুস্থ হলে 'ঢাকি' করে নিয়ে আসতে হয়। বন্যার সময় এরকম হলে কী অবস্থা হয় বুঝে দেখুন। এই ভোগান্তি প্রতি বছরেরই। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। যদিও বর্তমানে লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিনহার অনুপ্রেরণায় এই ব্রিজ হচ্ছে।
থিবা অঞ্চল সভাপতি সাইন কাজির বক্তব্য, নির্বাচনের আগে এই রাস্তাটির জন্য বিধায়ক অভিজিৎ সিনহাকে জানিয়েছিলাম। রাস্তার মাঝে যে খালটি পড়ে তার উপরে একটি ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। অর্ধেক কাজও হয়ে গিয়েছে। ভোটের আগেই আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আর কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)