নিজস্ব প্রতিবেদন: ঠিক যেন কোনও সিনেমা। রিল লাইফে যেমন ছদ্মবেশে অপরাধীদের উপর নজর রাখতে দেখা গিয়েছে দুঁদে পুলিস অফিসারদের, রিয়েল লাইফেও ঠিক তেমন কাণ্ড ঘটালেন মুর্শিদাবাদের অরিতিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) তন্ময় সরকার। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তাঁর কীর্তি। কী করলেন তিনি? তবে শুনুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রত্যেকদিনের মতো শনিবারও বহরমপুর লালদীঘির সামনের রাস্তায় পেয়ারা বিক্রি করছিলেন হাবিবুল শেখ। হঠাৎই এসে তাঁর সঙ্গে আলাপ জমান এক যুবক। পেয়ারা কিনে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের হাল হকিকতের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। হাবিবুলের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। ধীরে ধীরে তাঁদের ভাব জমে ওঠে। দুপুরের দিকে ওই অগন্তুকের ভরসায় ফলের পসরা রেখে কিছুক্ষণের জন্য খেতে যান হাবিবুল। কিন্তু ফিরে এসে তিনি যা দেখেন, তাতে তাঁর চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে যায়!


আরও পড়ুন: শিশু পাচারকাণ্ডে ৬ অভিযুক্তকে CID জেরা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর শাস্তির দাবিতে সরব TMC


আরও পড়ুন: আরামবাগ গার্লস স্কুলে রেজাল্ট বিভ্রাট, নম্বর বাড়ল ১৩৭ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর


হাবিবুল দেখেন, ক্রেতারা ভিড় জমাতেই ওই যুবক দাঁড়ি পাল্লায় হাতে তুলে নিয়ে পেয়ারা বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন। পরে অবশ্য হাবিবুলকে হিসেবপত্র বুঝিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়েন তিনি। কিন্তু কে এই আগন্তুক? হঠাৎ কোথা থেকে তাঁর আগমন? উদ্দেশ্যই বা কী ছিল এবং কোথায় উধাও হয়ে গেলেন তিনি? এমন নানাবিধ প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে পেয়ারা বিক্রেতার মনে। যদিও পরে সেই আগন্তুকের পরিচয় জানতে পারেন হাবিবুল এবং তখন প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। 


তিনি জানতে পারেন ওই যুবক আর কেউ নয় মুর্শিদাবাদের অরিতিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) তন্ময় সরকার। পরে ক্যামেরার সামনে পরিচয় গোপন রাখার কারণ জানান পুলিস কর্তা। তিনি বলেন, ছদ্মবেশে বহরমপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষের মন বুঝতেই তাঁর এই কৌশল। শনিবার দুপুরে সাদা পোশাকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় টুঁ মারেন তিনি। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মুর্শিদাবাদের অরিতিক্ত পুলিশ সুপারের (লালবাগ) এই কীর্তি।