Amartya Sen Land Dispute: ফের শুরু টানাহেঁচড়া, অমর্ত্য সেনের বাড়িতে নোটিস সাঁটিয়ে হুঁশিয়ারি বিশ্বভারতীর
Amartya Sen Land Dispute: ২৯ মার্চ বিকেলে অমর্ত্য সেনকে সশরীরে অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিব তথা এস্টেট অফিসারের কাছে শুনানির জন্য হাজিরা দিতেও বলা হয়। অমর্ত্য বিদেশে থাকায় এবং জমি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি না-থাকায় ওই তারিখে শুনানিতে থাকা সম্ভব হবে না বলে বিশ্বভারতীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী
প্রসেনজিত্ মালাকার:নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর 'জমি দখল' করে আছেন। এমন অবস্থানে অনড় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর হিয়ারিংয়ে উপস্থিত না থাকার কারণে, আগামী ১৯ এপ্রিল বেলা ১২ টায় ১৯৭১ এর আইন অনুযায়ী কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিশ্বভারতী। এই মর্মে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের প্রতীচী বাড়িতে নোটিশ সাঁটিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত অর্থাৎ উচ্ছেদ পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সমন নোটিশ জারি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নিন্দার ঝড় সর্বত্র।
আরও পড়ুন-অন্ধকার জগত্কে হুঁশিয়ারি, গ্যাংস্টার আতিক খুনের পর বিস্ফোরক আদিত্যনাথ
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রেস রিলিজ করে বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারের তরফে একটি নোটিস জারি করা হয়। নোটিস পাঠানো হয় অমর্ত্যের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তীকে। এছাড়াও প্রতিলিপি পাঠানো হয় বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার, বোলপুরের মহকুমা শাসক, বোলপুরের পুলিশ আধিকারিক, শান্তিনিকেতন থানার কর্তব্যরত আধিকারিকেও। ওই নোটিসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী আগামী ১৯ এপ্রিল কঠোর উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ২৯ মার্চ বিকেলে অমর্ত্য সেনকে সশরীরে অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিব তথা এস্টেট অফিসারের কাছে শুনানির জন্য হাজিরা দিতেও বলা হয়। অমর্ত্য বিদেশে থাকায় এবং জমি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি না-থাকায় ওই তারিখে শুনানিতে থাকা সম্ভব হবে না বলে বিশ্বভারতীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। চিঠি পাঠিয়ে ৪ মাস সময়ও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বিশ্বভারতী ৪ মাসের বদলে মাত্র ১০ দিন সময় দেয় হাজিরার জন্য।
বিশ্বভারতীর পাল্টা দাবি, আইন অনুযায়ী ৭ দিনের বেশি সময় দেওয়া যায় না। যতটা সম্ভব সময় দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী ১৯ এপ্রিল ‘কড়া সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এমনটাই লেখা হয়েছে ওই সমন নোটিসে। পাশাপাশি বলা হয়, আগামী ১৯ এপ্রিল, চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত,অমর্ত্য সেন বর্তমানে বিদেশে। এই অবস্থায় তাঁর জমি দখল যাতে না হয় এই মর্মে দায় করা মামলায় বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে গীতিকণ্ঠ মজুমদার বোলপুর মহকুমা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ সিআরপিসি অনুযায়ী আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বোলপুর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্দেশও দেয়।অমর্ত্য সেনের বাড়ির আশেপাশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দায়িত্ব দেওয়া হয় শান্তিনিকেতন থানার কর্তব্যরত ওসিকে।
২০মার্চ,বোলপুর মহকুমার সুরুল মৌজার ১৯০০/২৪৮৭ দাগ এবং খতিয়ান নম্বর ২৭০-এর জমিটির মিউটেশন রয়েছে অমর্ত্যের নামে। শুধু তা-ই নয়, জমির পরিমাণও ১.৩৮ একরই রয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের নথিতে।বাবা আশুতোষ সেনের নামে থাকা জমি অমর্ত্যের নামেও করে দেওয়া হয় জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে। যদিও ১৯৪৩ সালে অমর্ত্যের বাবা আশুতোষকে কখনই ১.৩৮ একর জমি লিজ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করে বিশ্বভারতী।১.২৫ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতে বিশ্বভারতী অমর্ত্যের বিরুদ্ধে ১৩ ডেসিমেল জমি দখলের অভিযোগ করে।সেই জমি ফেরতের দাবিতে অনড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার প্রতীচী বাড়িতে নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয় আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি।১৩ ডেসিমেল জমি দখলের অভিযোগে ফের সমন নোটিশ জারির পর নিন্দার ঝড় সর্বত্র।