নিজস্ব প্রতিবেদন : রাস্তা ফেরত নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইমতো বছরের প্রথম দিনে আজ রাস্তা ফেরত নিতে আসছেন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার। সবমিলিয়ে বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) সঙ্গে চরমে রাজ্য সরকারের সংঘাত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বোলপুর শহরের মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বভারতীকে দেওয়া কালিসায়ের মোড় থেকে উপাসনা মন্দির পর্যন্ত রাস্তা  ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ঘোষণা করেন। আর তারপরই ময়দানে নামে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনে দিয়ে যে রাস্তা ছিল, শুরু হয় পাঁচিল দিয়ে তা ঘেরার কাজ। যার ফলে অসুবিধায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। 


তাঁদের অভিযোগ, চিত্রা মোড়, লাল পুলের যানজট এড়িয়ে এই রাস্তা ছিল শান্তিনিকেতন যাওয়ার জন্য শর্টকাট। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পাঁচিল দেওয়ার ফলে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাঁদেরকে। অবিলম্বে এই রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। অন্যথায় পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এহেন পরিস্থিতির মধ্য়েই আজ দুপুরে রাস্তা 'হ্যান্ডওভার' নিতে আসছেন বীরভূম জেলা শাসক ও পুলিস সুপার।


অন্যদিকে, আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘর বন্ধ করা নিয়ে আজ নতুন করে বিতর্কে জড়াল বিশ্বভারতী (Viswa Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিনের পুরনো আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘর। সেই ঘরই সিল করে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় পাঠভবন ঢোকার মুখে ঘরের সামনে বসেই প্রতিবাদে বসেছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ছাত্রীরা। উল্লেখ্য,  ১৯১৬ সালে আলাপনি মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। 


বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী আশ্রমিক মহিলারা থাকেন এই আলাপিনী মহিলা সমিতিতে। এই সমিতির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই আশ্রমের নানান কাজের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদেরই বসার একটি ঘর ছিল বিশ্বভারতী পাঠভবনে ঢোকার মুখে। অভিযোগ, আজ হঠাত্ নোটিস দিয়ে সেই ঘর বন্ধ করে দেয় বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ।


আরও পড়ুন, ৭৪ বছরে প্রথম! কল্পতরুতে সাধারণের জন্য় বন্ধ কাশীপুর উদ্যাবাটি, সম্প্রচার অনলাইনেই