নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার সকাল থেকেই তোলপাড় বীরভূম। সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা তাঁর সঙ্গে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দিষ্টভাবে কিছু না জানিয়ে বেপাত্তা হয় যান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শেষপর্যন্ত তাঁর খোঁজ মিলল তারাপীঠে। এনিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস দিল জেলা প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেলা প্রশাসনের তরফে একটি নোটিস ধরিয়ে অনুব্রতকে জানিয়েছে দেওয়া হয়েছে, নজরবন্দি থাকাকালীন এভাবে উধাও হয়ে যেতে তিনি পারেন না। তাঁর গন্তব্য ও কর্মসূচির পুরোটাই তাঁর সঙ্গে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে হবে।


আরও পড়ুন-Central Force-কে আড়াই ঘণ্টা ঘোরানোর পর অবশেষে দেখা দিলেন 'নজরবন্দি' Anubrata 


উল্লেখ্য, আগামিকাল বীরভূমের ১১ আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগেই আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি করেছে কমিশন।  বুধবার সকালের একটু পরেই বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mandal)। উদ্দেশ্য জেলার বিভিন্ন পার্টি অফিস। তাঁর সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়িও। কিন্তু কিছুক্ষণ যাওয়ার পর একটি রাস্তার বাঁকে উধাও হয়ে যায় তাঁর গাড়ি। দীর্ঘক্ষণ তাঁর গাড়ি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও তা খুঁজে বের করতে পারেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force)।


আরও পড়ুন-Covid চিকিত্সায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির ১৩৬৭ বেড অধিগ্রহণ করল রাজ্য সরকার


প্রায় আড়াই ঘণ্টা কোথায় ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল? তিনি কি তারাপীঠের মন্দিরেই ছিলেন? নাকি অন্য কোথাও? দলীয় সূত্রে খবর, নানুরে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে লাভপুর। সেখান থেকে তিনি চলে যান ইলামবাজার। তার পর সেখানে থেকে তিনি চলে আসেন তারাপীঠে। সেখানে পুজোও দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। 


এদিকে, অনুব্রতর কমিশনের নজরের বাইরে চলে যাওয়া নিয়ে রিপোর্ট দিল পুলিস। রিপোর্ট পাওয়ার পর তার গাড়ি এগিয়ে যাওয়াকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না কমিশন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, অনুব্রতকে পিছনে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে একটি ট্রাফিক সিগন্যাল পড়ে। সেক্ষেত্রে অনুব্রত কিছুটা এগিয়ে যান। তিনি এমন কোথাও যাননি যাতে কমিশনের নির্দেশ ভাঙা হয়। তাই আপাতত তাকে গৃহবন্দী করার কোনো ভাবনা নেই কমিশনের।