নিজস্ব প্রতিবেদন:  'বিগত ১০ বছর মানুষের পাশে ছিলাম। মানুষের জন্য কাজ করেছি। কোনও জাত-পাত, দল দেখিনি, যেভাবে যে যখন এসেছেন, সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করেছি'। হাওড়ার জোমজুড় থেকে তৃতীয়বার জেতার বিষয়ে 'নিশ্চিত' রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। স্পষ্টতই বললেন, 'মানুষের সঙ্গে কখনও গদ্দারি করিনি। যাঁরা গদ্দার বলছেন, তাঁরা নিজেরা আগে আয়নার মুখ দেখুক'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের ভোটে (WB Assembly Election 2021) ২৯৪টি আসনে যখন পূর্ণাঙ্গ প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল (TMC), তখন দফায় দফায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছে বিজেপি (BJP)। শনিবার রাতে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করে দলের নির্বাচনী কমিটি। সূত্রের খবর, বৈঠকে শুভেন্দুর মতোই নিজের পুরনো কেন্দ্র ডোমজুড় থেকেই প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। রবিবার যখন বিজেপির প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হয়, তখন দেখা যায়, পছন্দমতো আসনেই টিকিট পেয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: WB assembly election 2021 : প্রার্থী ক্ষোভে ফের ভাঙন BJP-তে, দল ছাড়লেন দীর্ঘ '২১ বছরের' নেতা


এদিন দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে হাওড়ার জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন পেশ করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। কী মনে হচ্ছে? ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী জবাব, 'বিগত ১০ বছর মানুষের পাশে ছিলাম। মানুষের জন্য কাজ করেছি। কোনও জাত-পাত, দল দেখিনি, যেভাবে যে যখন এসেছেন, সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। ডোমজুড়ে কতটা উন্নয়ন হয়েছে, মানুষ দেখেছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা পাশে ছিল, মানুষ জানে। আমি নিশ্চিত, এবারও মানুষ তাঁদের আর্শীবাদ, দুয়া, জোহার, সবটাই দেবেন'।


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: বুথের ১০০ মিটারের ধারে কাছে থাকবে না রাজ্য Police, প্রথম দফায় ৭০৫ কোম্পানি আধাসেনা


২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ডোমজুড় থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় তৃণমূলত্যাগীদের প্রার্থী করা নিয়ে যখন গেরুয়াশিবিরে ক্ষোভ চরমে, তখন বিষয়টিকেও আমল দিতে নারাজ রাজীব। বরং বললেন, 'এটাই প্রমাণ করে, ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসছে। এটাই প্রমাণ করে, দল বড় হচ্ছে। তৃণমূলের ক্ষেত্রেও এটা হয়েছিল। মানুষ যেমন মানুষের জন্য কাজ করতে চায়, তেমনি তাঁর ব্যক্তিগত উচ্চাশাও থাকে। দল সবার সঙ্গে কথা বলবে, সবাইকে মান্যতা দেবে। সকলে একসঙ্গে মিলবে কাজ করব'।