নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঁশকুড়ায় তৃণমূল (TMC) নেতা খুনের মামলায় আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা তোলার বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'এই বিজ্ঞপ্তি এক পাক্ষিক, দায়িত্বহীন, ভাবনাচিন্তাবিহীন'।  এদিকে ততক্ষণে সরকারি বিজ্ঞপ্তি গ্রহণ করে বেকসুর খালাসের রায় ঘোষণা করে দিয়েছে নিম্ম আদালত (Lower Court)। হাইকোর্টে সেই রায় খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত চত্বর থেকে কার্যত পালিয়ে যান অভিযুক্ত বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান। তাকে ফের গ্রেফতারের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে পুলিসমহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঠিক কী?  দুর্গাপুজোর নবমীর দিনে রাতে পাঁশকুড়ার মাইসোরায় পার্টি অফিসেই খুন হন তৃণমূল নেতা কুবরান শাহ। পার্টি অফিসে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে খুন বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে বিজেপি (BJP) নেতা আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিস। প্রায় এক বছর ধরে জেলে ছিলেন তিনি। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ওই বিজেপি নেতার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে আবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) বাইকে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি পোস্ট করা হয়। যে ব্যক্তি হাজতে রয়েছে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কী করে চলছে? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।


আরও পড়ুন: ভোট ঘোষণা হতেই Binpur-Belpahari-তে ফিরল সাদা কাগজে লাল কালির সেই পোস্টার


প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত আনিসুর রহমান একসময়ে যুব তৃণমূলের (TMC) পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে দলবদল করে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। সূত্রের খবর, শাসক দলে থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন আনিসুর। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দলত্যাগী এই নেতাকে ফেরানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেকারণেই মামলা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত। সরকারের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন নিহত তৃণমূল নেতা কুবরান শাহের এক আত্মীয়। সেই মামলা প্রেক্ষিতেই বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট।