নিজস্ব প্রতিবেদন: স্রেফ ভোট বয়কট নয়, সঙ্গে 'জনযুদ্ধের জন্য গেরিলা বাহিনী'র গড়ে তোলার আহ্বান। মনোনয়ন পেশের প্রথম দিনে এমন পোস্টার পড়ল মহকুমাশাসকের দফতর লাগোয়া পাঁচিলে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম দফায় ভোটে রাস্তার দাবিতে বুথমুখো হননি বাঁকুড়ার ছাতনা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটাররা। গ্রাম থেকে বুথ অনেক দূরে, তাই ভোট দিতে যাননি জেলার রানিবাঁধ এলাকার বাসিন্দারাও। রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ। পানীয় জল না পেয়ে ভোট বয়কটে হুমকি দিয়েছেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের গরালবাড়ি পঞ্চায়েত এলাকার সরকারপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, এলাকার চারটি গ্রামে প্রায় হাজার পাঁচেক লোকের বাস। কিন্তু পানীয় জলের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়নি কোন দলই। ফলে নদী কিংবা এলাকা থেকে বেশ দূরে থাকা টিউবওয়েল থেকেই পানীয় জল আনতে হয়। এমনকী, অপরিশোধিত পানীয় জল খেয়ে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের সাফ কথা, জল পেলেই ভোট দেবেন, নচেৎ নয়। কিন্তু দুর্গাপুরে যা ঘটেছে, তাতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে দিয়েছে।


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: কোথাও টয়লেট নেই; কোথাও থাকার জায়গা, বাঁকুড়া -খড়গপুরে চরম ক্ষোভ ভোটকর্মী-জওয়ানদের


সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণ দুর্গাপুর ও আসানসোল শিল্পাঞ্চলে। এদিন থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশ প্রক্রিয়া শুরু হল দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের অফিসের। সন্ধ্যায় অফিসের নিচে বেশ কয়েকটি পোস্টার নজরে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সাদা কাগজের ওই পোস্টারে লাল কালি দিয়ে লেখা, 'গোদিলোভী, লুটেরা ও শোধনবাদীদের ভাঁওতায় না ভুলে নির্বাচন বয়কট করুন। রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলকে পাখির চোখ করুন। জনযুদ্ধের জন্য সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গড়ে তুলুন'। নীচে লেখা, CPI(ML)। 


জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর শহরের যে অঞ্চলে এই পোস্টার পড়েছে, সেই এলাকা এদিন থেকে বিশেষ নাকাচেকিং-র ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এমন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ফাঁক গলে কীভাবে পোস্টার পড়ল? মহকুমাশাসক অর্ঘ্যপ্রসূন কাজি জানিয়েছেন, 'পুলিসকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছি'।