নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেসের আচরণে ক্ষুব্ধ সোমেন মিত্রের পরিবার। এবার কি বিজেপির পথে শিখা-রোহন? সেই জল্পনাই নতুন করে শুরু হল রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তাঁরা। সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর কংগ্রেসের সঙ্গে এতদিনের সম্পর্কের সুতো কোথায় আলগা হয়ে গেল? তাহলে কি তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন? প্রশ্ন ঘনিয়েছে ভোটমুখী রাজনীতিতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 অন্যদিকে, গতকাল এ শুভেন্দু অধিকারী এসেছিলেন সোমেন মিত্রের বাড়িতে। সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে বিজেপিতে যোগদান ও চোরঙ্গী থেকে টিকিট দেবার কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।  তবে এখনই দলবদলের প্রসঙ্গে খোলসা করে কিছু বলেননি তাঁরা। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে যে তিক্ততার দিকে চলে গিয়েছে তা জানিয়েছেন। কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করার পরই কেন কংগ্রেসে কোণঠাসা হওয়ার কথা বলছেন সোমেন মিত্রের পরিবার? উঠছে প্রশ্ন।  


শিখা মিত্র Zee 24 Ghanta কে বলেন, 'আমাদের কাছে একটা খবর ছিল, সোমেন মিত্রর লোকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোনও কিছুই হয়নি। হঠাৎ করে এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করে। আমি অবাক হয়ে যাই, যাঁরা সোমেন মিত্রর জন্য আজকে এখানে এসেছেন, যাঁদেরকে লালন পালন করেছেন, তাঁরা দেখছি পদ পেয়ে  খুব বাজে ব্যবহার করছেন। এটা কেন, কী জন্যে, আমি জানি না'।  


কারা করছেন এমনটা? প্রশ্ন করলে তিনি জানান, 'আমি নির্দিষ্ট করে কারও নাম বলতে চাই না। যাঁরা এখন কংগ্রেসের হর্তা-কর্তা-বিধাতা, তাঁরাই এ কাজ করছেন। এই ঘটনা খুবই দুঃখের আমার কাছে'। 


এই প্রসঙ্গে  Zee 24 Ghanta কে বিজেপি নেতা জয় প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'শিখাদি আমাদের শ্রদ্ধার দিদি। আমাদের সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক। আমি কংগ্রেসে যখন ছিলাম, তখনও শিখাদির সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। এখনও আছে। কিছু মানুষ আছেন যাঁরা  রাজনীতির জন্য় রাজনীতিতে আসেন না। সে সাধারণ মানুষকে কিছু দেওয়ার জন্য রাজনীতি করেন। শিখাদি এরকমই একজন মানুষ। তাঁকে যে অপমান সহ্য করতে হয়েছিল তৃণমূলে, সেটাও আমরা জানি। পরবর্তীকালে কংগ্রেসে যে অপমানিত বোধ করছেন, সেটা খুবই দুঃসংবাদ। মানুষের জন্য কাজ করার ভাবনাচিন্তায় যদি তিনি বিজেপিতে আসতে চান, তাহলে তাঁর চেয়ে আর ভালো কী হতে পারে। শিখাদিকে স্বাগত জানাই বিজেপিতে'।