নিজস্ব প্রতিবেদন : দুদিন আগেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁছাছোলা ভাষায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া (Matua) মহাসঙ্ঘের প্রধান সেবায়েত মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। ৩০ জনের দাবি থাকলেও একজন মতুয়াকেও প্রার্থী করা হয়নি বলে তোপ দেগেছিলেন। এমনকি, মতুয়া ভোট নিয়ে আর কোনও দায়িত্ব থাকবে না বলেও বিজেপিকে (BJP) কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপরই মঙ্গলবার সকালে বিজেপি মোট ১৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতেই দেখা গেল ভোলবদল! গাইঘাটায় (Gaighata) প্রার্থী করা হয়েছে বড়মার নাতি সুব্রত ঠাকুরকে (Subrata Thakur)। ওয়াকিবহল মহলের মতে মতুয়া মন জয়েই বিজেপির এই প্রার্থী কৌশল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্যদিকে, এদিন বিজেপি গাইঘাটায় (Gaighata) প্রার্থী হিসেবে সুব্রত ঠাকুরের (Subrata Thakur) নাম ঘোষণা করতেই বাবা মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুরের উল্টোপথে হেঁটে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর দাবি করলেন, "৮টি কেন্দ্রে মতুয়া (Matua) প্রার্থী করেছে বিজেপি (BJP)। বাবার কাছে ভুল তথ্য ছিল।" প্রসঙ্গত, সেদিন যখন মতুয়া প্রার্থী নিয়ে তোপ দাগেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান সেবায়েত মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর, তখন অবশ্য চুপ ছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এদিন ভাই সুব্রত ঠাকুরকে গাইঘাটা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতেই দাদা-ভাই মিলে হরিচাঁদ মন্দিরে যান। সেখানেই মতুয়া প্রার্থী নিয়ে মুখ খোলেন শান্তনু ঠাকুর। 


প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটের বিচারে গাইঘাটা (Gaighata) আসনে ৩৫ হাজার ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। এখন আসন্ন বিধানসভা ভোটে গাইঘাটা আসনে সে ফায়দা বিজেপি (BJP) তুলতে পারবে কিনা, তা বলবে সময়ই। তবে ইতিমধ্য়েই, এবার তৃণমূলের তরফে মতুয়াদের কাউকে প্রার্থী না করার বিষয়ে নিজের দলের প্রতি-ই উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও। সবমিলিয়ে সুব্রতকে (Subrata Thakur) গাইঘাটায় প্রার্থী করে লাভের অঙ্ক ঘরে তুলতে চাইছে বিজেপি। এখন দেখার ২২ এপ্রিল ভোটবাক্সে কী রায় দেয় মতুয়ারা (Matua)। কারণ, প্রতিবারের মত এবারও ভোটে জয় হাসিল করতে মতুয়া ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর।


উল্লেখ্য, এদিন প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে বিজেপি যে শুধু মতুয়া বিতর্কেই জল ঢালতে চেয়েছে এমনটা নয়, চৌরঙ্গি (Chowringhee) ও কাশীপুর-বেলগাছিয়া (Kashipur Belgachia) কেন্দ্রের প্রার্থী বিতর্কেরও অবসান ঘটিয়েছে। চৌরঙ্গিতে দেবব্রত মাঝি ও কাশীপুর-বেলগাছিয়াতে শিবাজি সিংহ রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, চৌরঙ্গি আসনে প্রথমে প্রয়াত সৌমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাতে সাফ আপত্তি জানান সৌমেন জায়া। অন্যদিকে কাশীপুর-বেলগাছিয়া আসনে তৃণমূলের মালা সাহার স্বামী তরুণ সাহাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিজেপি। তিনিও বিজেপির প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন। 


এছাড়াও এদিন করণদিঘি কেন্দ্রে সুভাষ সিনহা, ইটাহারে অমিত কুমার কুন্ডু, বাগদাতে বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরে অশোক কীর্তনিয়া, বালুরঘাটে অশোক লাহিড়ী, রাসবিহারীতে সুব্রত সাহা, বহরমপুরে সুব্রত মৈত্রকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি। আরও পড়ুন, পাহাড়ের ৩ আসনে প্রার্থী দিল BJP, আজ প্রার্থী ঘোষণা করবেন গুরুংও