নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি ও তৃণমূলকে সতর্ক করে দিলেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। বনগাঁর এক সভায় তিনি ওই দুই দলের দুষ্কৃতীদের গাছে বেঁধে রাখার নিদান দেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বনগাঁয় গোপালনগর হাইস্কুল মাঠে সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে এক সভায় আজ আইএসএফ(ISF) নেতা নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, উত্সবের মেজাজে ভোট দিতে যান। বিজেপি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যদি বাধা দিতে আসে তাহলে বুঝবেন তারা সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন। আর যদি কেউ সংবিধান বিরোধী কাজ করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। তা কাজ না হলে ওদের গাছে বেঁধে রাখুন। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওদের ছাড়বেন না।



আরও পড়ুন-প্ররোচনামূলক ভাষণ! Mamata-র প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের  


নওশাদ সিদ্দিকি(Naushad Siddiqui) আরও বলেন, গত ভোটে সিপিএম, কংগ্রেসকে মনোনয়ন ফাইল করতে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেও কিছু লোক মনোনয়ন দাখিল করেছিল। কিন্তু দিদিমনির গুন্ডারা তাদের বাড়িতে এসে রীতিমত হুমকি দেওয়া হয়। বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে অভ্যবতা করা হয়। তাই রাজ্যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও যদি এরকম হয় তাহলে এরকম মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়োজন নেই।


আরও পড়ুন-শীতলকুচিকাণ্ডে নানা প্রশ্ন-রাজনীতি, ফুটেজ প্রকাশ করলেই তো ল্যাটা চুকে যায়!


বনগাঁ মহকুমার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের সমর্থনে সোমবার সভা করার কথা ছিল সূর্যকান্ত মিশ্র ও নওশাদ সিদ্দিকির। সভায় নওশাদ সিদ্দিকি পৌঁছালেও সূর্যকান্ত মিশ্র আসতে পারেননি। নওশাদ সিদ্দিকি মঞ্চে পৌঁছাতেই আইএসএফ ও বাম কর্মী সমর্থক উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। এদিন সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, আপনাকে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) কয়েক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল। এনিয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, আমরা বিক্রি হয়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতিতে আসিনি। সমাজে যে দুর্নীতি হচ্ছে তার প্রতিবাদ, শিক্ষা স্বাস্থ্য সবার কাছে পৌঁছানোর জন্যই আমাদের রাজনীতিতে আসা।