নিজস্ব প্রতিবেদন: কেশপুরে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম। গুনহারা গ্রামে বুথ দখলের খবর পেয়ে সেখানে খবর করতে যেতেই জি ২৪ ঘণ্টার গাড়ি ঘিরে ভাঙচুর করা হয়। কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচেন জি ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিক মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, চিত্রগ্রাহক। জঙ্গলের রাজত্ব চলছে, মমতার দুধেল বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে ঘিরে 'গদ্দার', 'জয় বাংলা' স্লোগান


ওই হামলার ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,  জি ২৪ ঘণ্টার উপরে হামলার খবর পরে জেনেছি। এখানে পুলিসের যে সিআই দায়িত্বে রয়েছেন শীর্ষেন্দু দাস সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে গিয়েছে ওদের উদ্ধার করে আনবে। মিডিয়ার উপরে হামলা হয়েছে। জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।  আমার উপরে পাথর ছোঁড়া হয়, হামলা হয়। এটা আমার অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। এই জন্যই আমাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক আছে । কিন্তু সাংবাদিকরা তো কোনও দলের লোক নন।  এদের কারও ভোটও এখানে নেই। সবাই বাইরের লোক। এদের উপরে কেন হামলা? যারা গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা মমতা বেগমের দুধেল বাহিনী ওদের আমি ভালোভাবে চিনি। এরকমই ওরা করে থাকে। আমার কোনও অভিযোগ নেই। আপনারা দেখান। ওদের চরিত্রটা তুলে ধরুন। সুফিয়ান বাহিনী ফেল।


উল্লেখ্য, আজ সকালে কেশপুরের (Keshpur) বিজেপি প্রার্থী প্রীতীশরঞ্জন কোঙার জানতে পারেন, গুনহারা এলাকায় বুথ দখল করা হয়েছে। সেই খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী। খবরের সত্যতা জানতে ঘটনাস্থলে হাজির হয় Zee ২৪ ঘণ্টা। এরপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে একদল লোক। তাদের হাতে দা, কাঠারি, লাঠি, বাঁশ। মহিলারাও এগিয়ে আসেন। সাংবাদমাধ্যমের গাড়ি দেখে তারা এগিয়ে এসে বলে, 'বিজেপির হয়ে খবর করতে এসেছিস! তৃণমূলের বিরুদ্ধে খবর করবি।' Zee ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি তাঁদের কাছে। অনুরোধ করেন, আমরা সাংবাদিক। কিন্তু, কোনও কথাই কানে যায়নি দুষ্কৃতীদের। এরপরই চারদিক থেকে গাড়ি ঘিরে চলে কাঁচ ভাঙচুর। বাঁশ দিয়ে বেদম পেটানো হয় গাড়িকে। গাড়ির অধিকাংশ কাচই গুঁড়িয়ে যায়।


আরও পড়ুন-'ভয়ে বসতে পারছেন না পোলিং এজেন্ট', বাড়ি থেকে বেরিয়ে বুথে রওনা মমতার


ওই ঘটনায় হাতে চোট লেগেছে ক্য়ামেরাম্যানের। এলাকার এক তৃণমূল নেতার নাম করে রক্ষা পান মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য। গাড়িটি ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে যেতে দেয় দুষ্কৃতীরা।  ঘটনাটি জানার পর কেশপুরে পুলিসকে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। নামানো হয়েছে বিশাল বাহিনী। গোটা এলাকায় চলছে তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে।