নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একের পর এক তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ পুরুলিয়ার জনসভায় মোদী বলেন, বাংলার মানুষের স্মৃতি অনেক শক্তিশালী। এখানকার মানুষ জানেন, কারা মাফিয়ারাজ, মাওবাদীদের মদত দেয়। দেশের মানুষ জানে পুলওয়ামা হামলা ও বাটালা হাউসএনকাউন্টারের ঘটনায় দিদি কাদের পাশে ছিলেন। মানুষ এর জবাব দেবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কুস্তি প্রতিযোগিতার ফাইনালে হেরে আত্মঘাতী কুস্তিগীর রীতিকা ফোগট


পুরুলিয়ার ভাঙড়া বাজারের সভা থেকে আজ নরেন্দ্র মোদী বলেন, দশ বছরের দুর্নীতি, তোষণের পর মমতা(Mamata Banerjee) দিদি হঠাত্ বদলে গিয়েছেন। এটা মনের বদল নয়, হারের ভয়। বাংলার মানুষ তা করতে বাধ্য করেছেন। বাংলার মানুষের স্মৃতি খুবই শক্তিশালী। গাড়ি থেকে নেমে সাধারণ মানুষকে ধমকেছেন। যখন পুলওয়ামা হামলা হয়েছিল তখন কাদের পক্ষে ছিলেন দিদি তা সবাই জানে। বাটলা হাউস এনকাউন্টারে সন্ত্রাসবাদীরা এক পুলিস অফিসারকে গুলিতে ঝাঁঝরা কারে দিয়েছিল। কিন্তু এইসব লোক একসময় এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। বাংলায় অনুপ্রবেশ কারীরদের পেছনেও এদের হাত। এই পবিত্র মাটি দিদির এই ব্য়বহার আশা করেনি। বাংলার মানুষ ঠিক করে ফেলেছে, লোকসভায় টিএমসি হাফ, এবার পুরো সাফ।


আরও পড়ুন-WB Assembly Election 2021: অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে ব্যাপক বোমাবাজি, পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে...


রাজ্য সরকার বাংলার আদিবাসীদের সবচেয়ে বঞ্চিত করেছে বলে তোপ দাগেন মোদী(Narendra Modi)। তিনি বলেন, কেন্দ্র বা রাজ্য়ে যেখানেই বিজেপি সরকার থাকুক না কেন আদিবাসীদের উন্নয়নের নজর দিয়েছে।  পৃথক মন্ত্রক দিয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় গ্য়াস(LPG) দিয়েছে। এবার বাজেটেও আদিবাসীদের পড়াশোনা, রোজগারের ব্যবস্থা করা করেছে। এখানে ডবল ইঞ্জিনের সরকার তৈরি হলে এখানকার যুবকদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে। এলাকায় একলব্য স্কুল খোলা হবে। এখানার যুবকদের রোজগারই বিজেপির প্রধান লক্ষ্য। বিজেপির নীতি হল ডিবিটি অর্থাত্ ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সসফার। আর তৃণমূলের নীতি হলে টিএমসি(TMC) অর্থাত্ ট্রান্সফার মাই কমিশন। এখানে আয়ূষ্মান ভারত লাগু হয়নি। কারণ এই ট্রান্সফার মাই কমিশন। এই জন্যই দিদি জনধন একাউন্টকে ভয় পান। দিদি, চাল চুরির খেলা এবার শেষ হবে। এবার জঙ্গল মহলের বার্তা চুরির খেলা চলবে না, চলবে না। আপনাদের আওয়াজ বলে দিচ্ছে, দিদির কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। সমাজে মাফিয়া রয়েছে, কিন্তু তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। বিজেপি করার জন্য খুন হতে হয়েছে। তাদের গুলি করা হয়েছে। এই মাফিয়রাজ আর চলবে না। স্থানীয় প্রসাসনকে বলব, সংবিধান মেনে কাজ করুন। ২ মে বিজেপি সরকার গড়লে সব অত্যাচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।  এরা জেলের হাওয়া খাবে।   ২ মে দিদি যাচ্চেন। আসল পরিবর্তন আসছে। এবার বাংলাকে অত্যাচারীর হাত থেক বাঁচাতে হবে। 


কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অভিয়োগ নিয়ে মোদী বলেন, দিদি এখন আমরা উপরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। কিন্তু আমার কাছে দিদিও ভারতের এক বেটি। দিদি চোটে আমিও চিন্তিত। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে শীঘ্রই আপনি সুস্থ হবেন। বিকাশের জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কিন্তু দলিতদের কাছে টানেননি তিনি। কাটমানি নীতির ফলে এখানকার  দলিতরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। সস্তার চালও টিএমসি ছাড়ে না। যখন আমপান সাইক্লোন এসেছিল তখন দিদির দল বলেছিল রিলিফের টাকার একাংশ পার্টি অফিসে জমা রাখাতে হবে। দিল্লিতে সব খবরই যায়।