নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের আগেই রক্ত ঝরল কোচবিহারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার দিনই কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৩২ বছরের এক যুবকের। মৃতের নাম প্রাণতোষ সাহা। পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে ওই যুবকের মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কামেশ্বরী রোডে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল শনিবার কোচবিহারে ভোট। ভোটগ্রহণ হবে কোচবিহারের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে- মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ। তার আগে আজ কোচবিহারে নির্বাচনী সভা রয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিকে সভার আগেই দিনে দুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন যুবক। কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রশাসক ভূষণ সিংয়ের বাড়ির পিছনেই এই শুটআউটের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে চলছে বিক্ষোভ। টায়ার জ্বলিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।


শুটআউটের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সরাসরি নিশানা করেছেন নির্বাচন কমিশনকে। Zee ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি তোপ দাগেন, "এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালাচ্ছে বিজেপির হার্মাদরা। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা বোমাবাজি করছে। গুলি করছে। জিরানপুরেও তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা পায়নি। আধাসেনা আনিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। কোনওরকম রুটমার্চ হচ্ছে না। কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনটা না প্রহসনে পরিণত হয়! কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য, ভোট করানোর জন্য অনুরোধ করছি। এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব অবিলম্বে বন্ধ করুক নির্বাচন কমিশন।" 


অন্যদিকে, মৃতের পরিবারের কথায়, খুনের পিছনে রয়েছে ব্যবসায়িক শত্রুতা। জানা গিয়েছে, পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ওই যুবক রোজকার মত আজও সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের দোকানে যান। সেইসময়ই তাঁর উপর হামলা হয়। দুই যুবক বাইকে করে এসে প্রাণতোষ সাহা নামে ওই যুবকের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। পরিবারের কথায়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবসার ক্ষতি করতে, দোকানের জিনিস লুঠ করতেই এই হামলা।


ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। রাজনৈতিক বৈরিতা না ব্যবসায়িক শত্রুতা, খুনের কারণ খুঁজতে সবদিক খতিয়ে দেখে শুরু হয়েছে তদন্ত। উল্লেখ্য, ভোটমুখী কোচবিহার মঙ্গলবার রাতেও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। জিরানপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন একজন।


আরও পড়ুন, WB assembly election 2021 : দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মী খুনে গ্রেফতার বিজেপির-ই বুথ সভাপতি


WB assembly election 2021 : 'বহিরাগত' দাবিতে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে BJP প্রার্থীকে মারধর, উত্তেজনা চন্দননগরে