জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকার তোয়াক্কা না করে জেলায় জেলায় কর্ম বিরতিতে যোগ দিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। জেলার অধিকাংশ দফতর, আদালতে বহু সরকারী কর্মী কাজে যোগ দিলেও কোনও কাজ করেননি। সোমবার ও মঙ্গলবার চলবে তাদের পেন ডাউন কর্মসূচি। এবারের বাজেটে রাজ্য সরকার ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও তাঁরা চাইছেন তাদের পাওনা ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হোক। সেই দাবিতেই তাদের এই আন্দোলন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সন্দেহ হতেই জেরা, পাইপগান ডেলিভারি দিতে এসে পাকড়াও অস্ত্র কারবারি স্কুলছাত্র


কোচবিহার


সোমবার ঠিক সময়ে কর্মস্থলে এলেও কোচবিহার আদালতে কাজে যোগ দিলেন না কর্মীরা। আদালতের সামনে ডিএর দাবিতে ধর্নায় বসেন পশ্চিমবঙ্গ আদালত কর্মচারী সমিতির কোচবিহার শাখা। এনিয়ে আদালত কর্মী দেবু সিংহ বলেন, বকেয়া ডিএ আমাদের দিতে হবে অন্যথায় আন্দোলন তীব্রতর হবে। একই চিত্র আলিপুরদুয়া আদালত চত্বরেও। সরকারী কর্মীরা কাজ না করলে বেতন কাটা পড়বে, চাকুরী জীবনে একদিন কাটা পড়বে ৷ এমন নির্দেশের মধ্যে পেন ডাউন ককর্মচূচিতে যোগ দিলেন তাঁরা। এর ফলে আদালতের কোন কাজকর্ম হচ্ছে না ৷ পশ্চিমবঙ্গ আদালত কর্মচারী সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে বকেয়া ডিএ এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা আদালতের জেলা জজের অফিসের উল্টো দিকে ধর্না মঞ্চ করে আদালতের কর্মচারীরা এই অবস্থানে সামিল হন।


বর্ধমান


সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে কর্মবিরতিতে সামিল হলেন বর্ধমান আদালতের কর্মীরা। তাদের সাফ কথা, সোম ও মঙ্গলবার তারা কোনও কাজ করবেন না। তাদের দাবি, অবিলম্বে তাদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। একই সাথে তাদের আরও দাবি, স্বচ্ছ নিয়োগ করতে হবে।
 আজ সকাল থেকে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হলেও আদালতের কর্মীরা আদালতের কোনও কাজ করছেন না।  সকাল থেকে জেলা আদালত চত্ত্বরে  বসে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। এই আন্দোলনের ফলে আজ বর্ধমান আদালতে কোনো কাজ হচ্ছে না। রীতিমতো সাউণ্ড সিস্টেম ব্যবহার করে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি অবিলম্বে তাদের বকেয়া ডি এ মেটাতে হবে।


ঝাড়গ্রাম


রাজ্যজুড়ে সরকারী কর্মচারিদের পেনডাউন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলাতেও। ঝাড়গ্রাম আদালতের কর্মচারীরা কাজ না করে আদালত চত্ত্বরের বুকে ব্যাজ পড়ে কর্ম বিরতিতে সামিল হন। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা স্বীকার করেও তাঁরা জানান, বাধ্য হয়েই তাদের এই পথে নামতে হয়েছে। ঝাড়গ্রাম কোর্টের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও একাংশের কর্মচারীরা আজ কর্মবিরতিতে সামিল হন।


দিনহাটা


দিনহাটা আদালত চত্বরে আদালত কর্মচারীদের কর্মবিরতি বিক্ষোভ তুলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সকাল থেকে রাজ্য সরকারের বকেয়া ডিএ প্রদানের দাবিতে দিনহাটা আদালত চত্বরে কর্মবিরতি পালন করেন আদালত কর্মীরা। কিন্তু দুপুরে তাদের সেই কর্মবিরতি বিক্ষোভ তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তৃণমূলের অভিযোগ, আদালতের সরকারি চেয়ার টেবিল বের করে কর্মবিরতি পালন করছেন। কিন্তু সেটা কেন হবে। শুধুমাত্র উপস্থিতি স্বাক্ষর করে পারিশ্রমিক নেবে তারপর  কর্মবিরতি পালন করবে তা হবে না। যদি কর্মবিরতি পালন করতে হয় তবে ছুটি নিয়ে পালন করুক।


নদিয়া


ডিএ এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি নিয়ে পূর্ব ঘোষিত অনুযায়ী কর্মবিরতিতে সামিল হল অরাজনৈতিক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের হয়ে সরকারি কর্মচারী সহ শিক্ষকরা। বকেয়া ডিএ,কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে,শূন্যপদে স্বচ্ছতার সাথে স্থায়ী নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে দুদিনের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে। সোমবার প্রথমদিন নদিয়া প্রশাসনিক ভবনের জেলাশাসক এর বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয় দুইদিন। প্রথমদিন সরকারি কর্মচারী অফিসে আসলেন  হাজিরা খাতায় হাজিরাও দিলেন, কিন্তূ কোনো কাজ করলেন না। সাধারণ মানুষ অপেক্ষায় তাদের কাজ করানোর জন্য।


হাওড়া


সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনে সামিল হাওড়া আদালতের সরকারি কর্মচারীরা। আজ দুপুরে হাওড়া আদালত চত্তরে তারা বুকে ব্যাজ লাগিয়ে বিক্ষোভে দেখান। আন্দোলনকারীরা জানান উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো তারা সম্পূর্ণ কর্মবিরতি পালন না করলেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের ৩১ দফা দাবি রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দাবি হল বকেয়া ডি এ মেটানো। অবিলম্বে রাজ্য সরকার বকেয়া ৩৯ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা ন মেটালে বড় আন্দোলনের হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা।


বসিরহাট


রাজ্যজুড়ে সরকারি কর্মচারিদের পেনডাউন কর্মসূচির পালিত হচ্ছে বসিরহাটেও ।  আজ আদালতের কর্মচারীরা কাজ না করে মিছিল করে কর্ম বিরতির পাশাপাশি এলাকায় মিছিল করে আদালতের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখায়। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা স্বীকার করেও তাঁরা জানান, বাধ্য হয়ে তাদের এই পথে নামতে হয়েছে। এদিন আদালতের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও একাংশের কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে সামিল হন। বসিরহাটে।


দুর্গাপুর


সরকারি কর্মচারীদের জন্য অতিরিক্ত তিন শতাংশ D.A দেবে রাজ্য সরকার এমনটাই রাজ্যের বাজেটে জানিয়েছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তারপরেও অসন্তুষ্ট রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।  ৩৯ শতাংশকে ৩ শতাংশে কেন নামানো হল এই অভিযোগকে সামনে রেখে সোম এবং মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের সরকারি কর্মচারীরা সোমবার সকাল থেকেই কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভে নামল। পরে আদালতের সামনেই তারা বসে পড়েন। 


আসানসোল


আসানসোলে কর্মবিরতি পালন হচ্ছে বেশ কয়েকটি দফতরে। আসানসোল আদালত চত্বরে সকাল থেকেই কর্ম বিরতিতে নেমেছে আদালতের কর্মচারীরা। হাতে প্রাকার্ড নিয়ে সকাল থেকেই অবস্থান-বিক্ষোভে রয়েছে বেশ কিছু দফতরের কর্মচারীরা। কয়েকজন করে কর্মবিরতিতে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের করা পদক্ষেপের কথা ঘোষণার জন্য সকলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না বলে কর্মচারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে তাদের নৈতিক সমর্থন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কর্ম বিরতির জন্য দফতরের কাজে অনেক সমস্যা হয়েছে।


জলপাইগুড়ি


পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির তরফে অভিনন্দন জ্ঞাপন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন্দ্রের অর্থনৈতিক বঞ্চনা থাকা সত্ত্বেও সকল কর্মচারী মহার্ঘ ভাতা প্রদানের জন্য শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার কার্যালয় জমায়েত। বাংলার কর্মসংস্কৃতিকে নষ্ট করার জন্য যে সকল অশুভ শক্তি  সাধারণ মানুষের পরিষেবা ও উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে চায় তাদের ধিক্কার জানিয়ে এদিন দুপুরে বিক্ষোভ দেখান জলপাইগুড়ি জেলাশাসক কার্যালয়ে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির তরফ জমায়েত হন তাঁরা।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)