ওয়েব ডেস্ক: পাহাড়ে আরও কড়া প্রশাসন। বিমল গুরুংদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল পুলিস। সিংমারির সংঘর্ষের জন্য  বিমল-আশা গুরুং সহ হাফডজন মোর্চার নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। রাজ্যের পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে মোর্চা।  অন্যদিকে, ২৭ জুন পর্যন্ত পাহাড়ে নেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একদিকে আলোচনার প্রস্তাব। আরেকদিকে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে দ্বিমুখী কৌশল নিল রাজ্য। শীর্ষ মোর্চা নেতাদের উস্কানিতেই সিংমারিতে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ায় মোর্চা। সমর্থকদের ছোঁড়া গুলিতে মারা যান তিনজন। ১৭ জুনের সেই ঘটনার দায়ে বিমল গুরুং-আশা গুরুংদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল রাজ্য।



বিমল ও আশা গুরুংয়ের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গা বাঁধানো, সরকারি কর্মীদের মারধর ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। দার্জিলিং সদর থানার আইসি সৌম্যজিত্‍ সাহার রুজু করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে, সংঘর্ষস্থল থেকে একাধিক মারণাস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।  পুলিসের দাবি, সিংমারি লাগোয়া এলাকা থেকে ২০০টি মাঝারি মাপের পাথর, ৩টি পিস্তল, ৪টি গুলি, ৬টি তলোয়ার, ৫টি খুকরি, ২৫টি তির ও ৮টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে ৫ জার ভর্তি কেরোসিন।



খুনের পাশাপাশি গুরুং দম্পতি ও দু ডজন মোর্চা নেতার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনেও মামলা দায়ের করেছে পুলিস।  রাজ্যের করা মামলায় স্বভাবতই ক্ষুদ্ধ মোর্চা।
আর মোর্চা-রাজ্য চাপানউতোরের মধ্যেই স্তব্ধ পাহাড়। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। ২৭ জুন পর্যন্ত পাহাড়ে নেট ও নিউজ চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। মোর্চা-প্রশাসন স্নায়ুর লড়াই চলছে। থমথমে পাহাড়।