`আমরা কেন্দ্রের শিক্ষানীতি মানি না` কৃতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, তোমরা নিশ্চয়ই বাইরে পড়তে যাবে। কিন্তু যেখানেই পড়তে যাও না কেন, বাংলাকে ভুলে যেও না, মাকে ভুলে যেও না। সেখানে কেন্দ্রের শিক্ষানীতি বিষয়ে তাঁর মনোভাবও ব্যক্ত করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, তোমরা নিশ্চয়ই বাইরে পড়তে যাবে। কিন্তু যেখানেই পড়তে যাও না কেন, বাংলাকে ভুলে যেও না, মাকে ভুলে যেও না। সেখানে কেন্দ্রের শিক্ষানীতি বিষয়ে তাঁর মনোভাবও ব্যক্ত করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কৃতি ছাত্রছাত্রীদের বিপুল উৎসাহ দিলেন। প্রথমেই বললেন, তিনি মনে করেন ছাত্রছাত্রীরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তিনি তাঁদের জন্য গর্ব অনুভব করেন। মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের বলেন, 'তোমরা এত ভাল ভাবে পড়াশোনা করবে যে, তোমাদের কোথাও দৌড়তে হবে না। বরং সারা পৃথিবী তোমাদের ডাকবে, তোমাদের খুঁজবে। পরবর্তীকালে তোমরা কেউ নাসায় যাবে, কেউ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে, কেউ আবার মাস্টারমশাই হবে। বাংলার ছেলেমেয়েদের মেধার কোনও তুলনা নেই। খোঁজ নিলে দেখবে, ইউএন, ইউএসএ-তে বাঙালির সংখ্যা কত বেশি। হার্ভার্ড থেকে কেমব্রিজ সর্বত্র প্রতিভাবান বাঙালি, স্পেস সায়েন্স বা অন্য গবেষণার ক্ষেত্রে বা বিজ্ঞানীদের মধ্যেও প্রচুর কৃতি বাঙালি রয়েছেন।' প্রসঙ্গক্রমে পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, তোমরা নিশ্চয়ই বাইরে পড়তে যাবে। কিন্তু যেখানেই পড়তে যাও না কেন, বাংলাকে ভুলে যেও না, মাকে ভুলে যেও না।
মমতা পড়ুয়াদের আশ্বস্তও করেন। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যদি কারও কোনও সমস্যা হয় তবে অবশ্যই তারা যেন স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা সব রকম সাহায্য পাবে। রাজ্য সরকার সব সময় তাদের পাশে থাকবে। যাদের বই কেনার ক্ষমতা নেই বা অন্য ধরনের কোনও সমস্যা আছে, তারাও যেন যোগাযোগ করে।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্যের ফাঁকেই মমতা বিজেপিকে তাদের কার্যক্রম নিয়ে বিঁধলেন। স্পষ্ট বলে দিলেন, এখানে এত মেধাবী, এত প্রতিভাবান পড়ুয়া। অথচ নতুন শিক্ষানীতিতে কেন্দ্র মেধাতালিকাই বাদ দিয়ে দিচ্ছে। এটা ঠিক নয়। তিনি বললেন, 'আমরা কেন্দ্রের শিক্ষানীতি মানি না।'
পরে তিনি বেশ কয়েকজন পড়ুয়াদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন। সেখানে তিনি তাঁর নিজের ছোটবেলার স্মৃতিও তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। তিনি বলেন, 'আমার বাবা ছোটবেলায় আমায় গান্ধীজির গল্প বলতেন। বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল সকলের গল্পই বলতেন।'
শেষে তিনি ছাত্রছাত্রীদের কিছু উপহার দেওয়ার কথা বলেন। সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য তিনি তাঁর স্বাক্ষর করা একটি করে ডায়েরি পড়ুয়াদের উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের তিনি অভিনন্দন ও ধন্যবাদ দেন।
আরও পড়ুন: এই প্রথম ভার্চুয়াল সংবর্ধনা, বাংলার কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন মমতার