ওয়েব ডেস্ক: এবার বোধ হয় বঙ্গে বর্ষার আগমন হবে একটু আগেই। এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আজই কেরলে পৌঁছে গেছে মৌসমী বায়ু। এবার ঘুর্ণিঝড় মোরা আগেই টেনে এনেছে মৌসুমী বায়ুকে। কেরলে বর্ষা ঢোকা মানেই এরাজ্যেও বর্ষার কাউন্টডাউন শুরু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোরা মুখ ঘুরিয়েছে বাংলাদেশে। মোরার টানে  নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেরলে ঢুকে পড়ল মৌসুমী বায়ু। গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে এবার অনেকটাই আগাম বর্ষার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। এবার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই উত্তর পূর্ব ভারতেও ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। মৌসুমীর এই অ্যাডভান্স ভিজিটে আশার আলো দেখছেন  অর্থনীতিবিদরা।



মোরার প্রভাবে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস মোরার জন্য কলকাতা সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও ভারি থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের দুদিন আগেই কেরলে মৌসুমি বায়ুর ঢুকে পড়ায়, মোরাকে বর্ষার অগ্রদূত মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।


'মৌসুমী' নির্ভর অর্থনীতি


দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষিজাত অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। দেশের ৪০ শতাংশ  জমির ফসল পুরোপুরি নির্ভর করে বৃষ্টির ওপর, এসব এলাকায় সেচ ব্যবস্থাই নেই। ধান, পাট, আখ, বিভিন্ন খাদশস্যের চাষ নির্ভর করে সঠিক সময়ে বর্ষার ওপর। জল সংরক্ষণ প্রকল্পেও সঠিক সময়ে বৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। সময়ে বৃষ্টি এককথায় গ্রামীন অর্থনীতির ভিত্তি। ফসল  ভাল  হলে অর্থনীতির মান বাড়ে। আর্থিক লেনদেন ভাল হয়, উত্‍পাদনজাত পণ্যের বিক্রি বাড়ে।


স্বাভাবিক বৃষ্টি খাদ্যের যোগানকে নিয়ন্ত্রণ করে। দেখা যায় খরার সময়ে জিনিসপত্রের দাম হয় আকাশছোঁয়া। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ দেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তা নিয়ন্ত্রণে নেপথ্যের কারিগর বলাই যায় মৌসুমী বায়ু।সঠিক সময়ে বর্ষাই বদলে দিতে পারে দেশের অর্থনীতির হাল। ফলে, মৌসুমী বায়ুর আগাম আগমনে এবার চাঙ্গা অর্থনীতির স্বপ্ন দেখছে দেশ।