নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজো মিটতেই বর্ষাসুরের দাপট। স্লগ ওভারে একেবারে বানভাসি করার পরিকল্পনা নিয়েই ব্যাট করছে বৃষ্টি। হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাংলার রেহাই নেই। একটানা বৃষ্টি চলবে।  ইতিমধ্যেই এক রাতের বৃষ্টিতে জলের তলায় শহর কলকাতা, দুর্যোগ জেলায় জেলায়।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠনঠনিয়া এলাকা:
রাত ভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া এলাকা। হাঁটু জল ভেঙে কাজে চলেছে স্থানীয়রা। এদিকে বৃষ্টি কমারও লক্ষণ নেই। এ পরিস্থিতিতে ম্যানহোলের মুখ খুলে জল নামানোর চেষ্টায় পুরকর্মীরা।


গোলপার্ক:
গাছ উপড়ে পরে বিপত্তি গোলপার্কে। রাতভর বৃষ্টি সঙ্গে দমকা হাওয়ার জেরে রাস্তার ওপর আড়াহাড়ি ভাবে ভেঙে পড়ছে গাছ। ভাঙা গাছের অংশ সোজা গিয়ে পড়ছে পাশের বহুতলের ওপরে। রীতিমতো বিধ্বস্ত অবস্থা গোলপার্কে।


শরত্ বসু রোড:
ঝড়- বৃষ্টির জেরে রীতিমতো বিপর্যস্ত দশা দক্ষিণ কলকাতার শরত্ বসু রোডের। রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের কাছে সিগন্যাল পোস্ট  ভেঙে পড়ে জখম বাইক আরোহী। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। অন্যদিকে এই রাস্তা ওপর ভেঙে পড়েছে গাছও। যান চলাচলে রীতিমতো সমস্যা।


পাতিপুকুর:
বৃষ্টি হতেই যে কে সেই দশা পাতিপুকুর আন্ডারপাসের। রাতভর বৃষ্টিতে আন্ডারপাস জলমগ্ন। জলের তোড়ে আটকে যাচ্ছে গাড়ি-বাস। এলাকায় রীতিমতো যানজট।


দুর্যোগ জেলায় জেলায়:  
দুর্যোগের ছবি জেলায় জেলায়। বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় আতঙ্কে পরিবেশ সুন্দরবন অঞ্চলে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তির্ণ অঞ্চল বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন  হয়ে পড়ছে। বৃষ্টিতে বিপর্যন্ত হুগলির বেশ কিছু এলাকা। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যন্ত গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায়। কালনার বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন। কাটোয়াতে একই হাল। বৃষ্টির জেরে স্বাভাবিক জন জীবন ব্যহত বর্ধমান শহরেও। ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টিতে সমস্যায় মুর্শিদাবাদের মানুষ।