নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বদল ফদল বুঝি না। আমরা বদলা চাই।' শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলনরত ২ ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে বিজেপির সভায় মঙ্গলবার এমনটাই বললেন দিলীপ ঘোষ। এদিন পুলিসকর্তাদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন দিলীপবাবু। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ যোগ করল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার হেমতাবাদে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন দিলীপবাবু। এদিন তাঁর আক্রমণের মূল নিশানা ছিল পুলিস ও তৃণমূল। মঞ্চ থেকে সরাসরি এদিন পুলিসকর্তাদের হুঁশিয়ারি দেন দিলীপবাবু। বলেন, 'মানুষ একজোট হচ্ছে। ২০২১-এ তৃণমূল সরকারকে উপড়ে ছাড়ব। এখন যে সমস্ত আইসি ও আইপিএস-রা তৃণমূলের দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করছেন তাঁদের নাম লিখে রাখছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। আমি বদল ফদল বুঝি না। তখন বদলা হবে। আমরা যা বলি তাই করি।'   


দিলীপবাবুর এহেন বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ যোগ করল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ইসলামপুর কাণ্ডের পর থেকেই পুলিসকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। পুলিস পেটানোর নিদান দিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর। রবিবার ইসলামপুরের দাড়িভিট গ্রামে দাঁড়িয়ে শঙ্করবাবু বলেন, পুলিসকে গ্রামে ঢুকতে দেবেন না। ঢুকলে বেরোতে দেবেন না। নীরিহ মানুষকে পুলিস গ্রেফতার করতে এসে গাছে বেঁঝে পেটান। বিজেপি আপনার সাথে আছে। 


ধর্মতলায় কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবিভিপি-র


একথা বলার ৫ ঘণ্টার মধ্যে শঙ্করবাবুকে গ্রেফতার করে করণদিঘি থানার পুলিস। পুলিসকে হুমকি দেওয়ার মামলায় মঙ্গলবার জামিনও পেয়েছেন তিনি। এদিন দিলীপবাবুর বক্তব্যে স্পষ্ট, দাড়িভিট কাণ্ডে শঙ্করবাবুর দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছে দল।