নিজস্ব প্রতিবেদন:  নন্দীগ্রামে রাতটুকু কাটিয়ে সক্কাল সক্কাল উত্তরবঙ্গে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কোচবিহারের দিনহাটা থেকে তিনি জোর গলায় বলেন, দু-দফার ভোট খুব ভালো হয়েছে। আমি জিতছি নিশ্চিত থাকুন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২১ সালে মতুয়া ভোটকে পাখির চোখ করে ভোট পেতে মরিয়া তৃণমূল ও বিজেপি। বিধানসভা মসনদ দখলের ভোট অভিযানে দুই দলের কাছেই সব থেকে বড় ফ্যাক্টর এই মতুয়া ভোট। বাংলাদেশে গিয়ে মতুয়া মন্দির দর্শন করেন নরেন্দ্র মোদী। মূলত, মতুয়াদের ভোট পাওয়ার তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন তিনি, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '২৫ বছর ধরে কেউ বড়মা চিকিৎসা করাত না। আমি নিজের টাকায় চিকিৎসা করিয়েছি। ওঁদের সুবিধার্থে রাস্তা তৈরি করেছি। রিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম কলেজ করে দিয়েছি। রাজবংশী ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। মতুয়াদের নানাভাবে সাহায্য করেছি। জাত-পাত নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না।


তিনি আরও বলেন, ৫০০ রাজবংশী শিল্পীকে সাহায্য করেছে আমার সরকার। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। রাজবংশী কালচারাল বিল্ডিং আলিপুরদুয়ারে তৈরি হবে আগামীদিনে। এখানে তৈরি হয়েছে হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার।’


আরও পড়ুন: West Bengal Election 2021: বড় ফ্যাক্টর মতুয়াদের ভোট, মন পেতে সকাল সন্ধে প্রচারে BJP-TMC


পাশাপাশি তিনি তপশীলী-আদিবাসী মেয়েদেরকে ৬০ বছর হলে পেনশন দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেন। এমনকি বিধবাদের প্রত্যেককে পেনশন দেওয়ার কথাও বলেন এদিনের সভা থেকে। বিনাপয়সায় বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া ও সব মেয়েরা ৫০০ টাকা প্রতিমাসে হাতখরচ দেওয়ার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মেয়েদের 
 ঋণ দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন,মেয়েরাই তৈরি করবে কর্মতীর্থ।


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: Amit Shah Live: আগামী ২ মে বেলা ২টোয় বিদায় নেবেন দিদি


এদিনের সভার শুরুতে নন্দীগ্রামের বিক্ষিপ্ত অশান্তি প্রসঙ্গে বলার সময় গুরুতর অভিযোগ করেন বিএসএফ, সিআরপিএফ-এর বিরুদ্ধে। তারা গেরুয়া শিবিরের কথায় তাণ্ডব চালিয়েছেন নন্দীগ্রামে। তবে এদিন দিনহাটা থেকে বক্তব্য রাখার মাঝে তাঁদের সম্মান করার সুরও শোনা যায় তাঁর গলায়।    


এছাড়া তিনি বলেন, ইলেকশন কমিশন ভোট পরিচালনা করছে না, করছে অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে সভায় রয়েছেন অমিত শাহ