নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন আগেই। দলবদল করার পর ধরা দিল সাফল্য। খড়়গপুর সদর কেন্দ্র থেকে জিতলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী অভিনেতা হিরণ (Hiran Chatterjee)। তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারকে হারালেন ৩ হাজার ১১৯ ভোটে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে রেলশহরের 'চাচা', দীর্ঘদিনের কংগ্রেস বিধায়ক  জ্ঞান সিং সোহন পালকে হারিয়ে 'জায়ান্ট কিলার' হয়ে উঠেছিলেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিধায়ক পদে মেয়াদ তখনও শেষ হয়নি। ২০১৯-র লোকসভা ভোটে ফের মেদিনীপুর আসনে প্রার্থী হন দিলীপ। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার ছাড়তে হয় বিধায়ক পদ। উপ নির্বাচনে খড়গপুর আসনটি পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল।


একুশের ভোটে খড়গপুরে কে হবেন বিজেপি প্রার্থী? তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কলকাতায় বাইপাসে ধারে একটি হোটেল যখন প্রার্থীতালিকা নিয়ে আলোচনায় বসেন বিজেপি নেতারা, তখন খড়গপুর সদরে ফের দিলীপ ঘোষকেই প্রার্থী করার প্রস্তাব দেন দলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি শমীক দাস। জানান, তৃণমূলের হাত থেকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতেই দিলীপকে চাইছেন কর্মীরা। তবে, বিকল্প হিসেবে আরও ৩টি নাম দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে খড়গপুরে আসনে টিকিট দেওয়া হয় অভিনেতা হিরণকে। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: একশো পার করছে না BJP, চ্যালেঞ্জ জিতেও সন্ন্যাস নিচ্ছেন Prashant


প্রার্থী নাম ঘোষণা পর থেকে খড়গপুরে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন হিরণ। ভোটের প্রচারে চষে বেড়িয়েছিলেন গোটা এলাকা। দলের প্রার্থীর সমর্থনে রেলশহরে সভাও করেন অমিত শাহ (Amit Shah), এমনকী নরেন্দ্র মোদীও (PM Modi)। তারই ফল মিলল হাতনাতে। 'দলবদলু'দের মধ্যে একমাত্র বিধায়ক হলেন হিরণ। জেতার তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'আমাদের মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে'। কিন্তু বাংলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার তো হল না? কতটা উন্নয়ন করতে পারবেন? নয়া বিধায়কের জবাব, 'খড়গপুরের মানুষ বিজেপিকে জয়যুক্ত করেছেন। দেশে তো বিজেপি আছে। মানুষ সেবা পাবেনই, পাবেন'।