নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে সামনে রেখে লড়েই ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। পরের লোকসভাতেও তাই। সেই একই রাস্তায় একুশের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গেও সোজাসুজি লড়াই মোদী বনাম মমতা।  রবিবার এমনটাই জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। অর্থাত্ একুশের লড়াই রাজ্য বিজেপির কোনও মুখ্যমন্ত্রী মুখ নেই। ভরসা সেই মোদীতেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে প্রকট 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব', ইউনিয়ন সভাপতির পদ খোয়ালেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী


রবিবার সল্টলেকে সব্যসাচী দত্তের গণেশ পুজোয় এসেছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কৈলাশ বলেন, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে লড়াই করবে না। লড়াই হবে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। নির্বাচনের পর বিধায়করা ঠিক করবেন কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন।


রাজ্য রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, রাজ্য বিজেপিতে এখন মুখ্যমন্ত্রী দাবিদার অনেকে। এনিয়ে দলে বিভাজন তৈরি হচ্ছে। ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করে দিলে সেই বিভাজন আরও চওড়া হবে। এতে দলের ক্ষতি হবে। অনেক নেতার অনেক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।


উল্লেখ্য, বিজেপি বারেবারেই বলে থাকে তৃণমূলে একজনই নেতা রয়েছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৈলাশের ওই ঘোষণার পর কোনও কোনও মহলের বক্তব্য, একই কথা খাটে বঙ্গ বিজেপির ক্ষেত্রেও। এখানেও মমতার বিরুদ্ধে লড়তে ভরসা সেই মোদী হওয়া।


বাংলায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বিজেপির রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা বোঝা যাচ্ছে। ওরা মমতার বিপরীতে কাউকে পাচ্ছে না। উনি বলেছেন মুকুল-রাহুল-দিলীপ একসঙ্গে লড়াই করবে যা সম্ভব নয়। ওদের মুখগুলো মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এটা বুঝতে পারছে। । তৃণমূলকে ওয়াকওভার দিল বিজেপি। তৃণমূল আগে থেকে এগিয়ে গেল।


গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। তার পরেও কেন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পাওয়া গেল না সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তাহলে বাংলাতেও কি মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় নীতিতেই ভরসা রাখছে বিজেপি! তবে এখানেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে মোদীকে মুখ করে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপি। ফলে মোদীকে সামনে রাখলেই তৃণমূলকে দশগোল দেওয়া যাবে তাও যুক্তি দিয়ে মানা শক্ত।


আরও পড়ুন-'কেউ ভুল করলে রাগ না করে মমতাকে মনে করবেন', ১০ হাজার যুবর যোগদানের দিনই আবেদন অনুব্রতর


প্রসঙ্গত বেশকিছু দিন ধরেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সংঘাত চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সমস্যার সুরাহা করতে সম্প্রতি একই দিনে রাজ্যে মুকুল রায়ের সঙ্গে কৈলশ বিজয়বর্গীয় ও দিল্লিতে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে জেপি নাড্ডা বৈঠকে বসেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। কৈলাশের সঙ্গে বৈঠকের পর মুকুল রায় জানিয়ে দেন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও সংঘাত নেই। অন্যদিকে, দিলীপবাবু দিল্লি থেকে ফিরে বলেন, সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।


এদিকে, কোনও কোনও মহল এমনও মনে করছে, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দিলীপ ঘোষকে দলের একাংশ মনে করলেও বিরোধী লবির তাতে সায় নেই। রাজ্য নেতাদের একাংশ চাইছেন মুকুল রায়কেও। তাতে আপত্কেতি অন্উয লবির।  কেউ আবার তথাগত রায়য়ের রাজনীতিতে আসার খবরকেও গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন। সবে মিলিয়ে বঙ্গ বিজেপির কোনও একজনকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে লড়াইয়ে নামতে সাহস করছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই এক কদম পিছিয়ে মোদীর নেতৃত্বেই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত।