নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় এক বছর ধরে হাইকোর্টে বিচারাধীন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা। এবারও ঝুলে রইল মামলার শুনানি। ডিএ মামলার নির্দেশকে পর্যালোচনা করে দেখার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।  পিটিশনে  তিনটি বিষয় উল্লেখ করে হয়। সেই আবেদনে প্রক্রিয়াগত ক্রটি রয়েছে বলে জানিয়ে দেয় বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরফের ডিভিশন বেঞ্চ। ক্রটি সংশোধন করে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফের আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাট-এ মহার্ঘভাতা নিয়ে মামলার শুনানির সময় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার নয় । মহার্ঘ ভাতা দেওয়া না দেওয়া সরকারের ইচ্ছের অধীন । সরকারের এই দাবিতে সিলমোহর দিয়েছিল স্যাটও ।

এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন । সেই মামলাতেই বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার, দয়ার দান নয় । ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয়, মহার্ঘভাতার অধিকার আইনি অধিকার । রোপা আইন অনুযায়ী একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ডিএ পেয়ে থাকেন ।


আরও পড়ুন: রয়েছে ফৌজদারি মামলা, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে নারাজ রাজ্য


মামলা ফেরে স্টেট অ্যাডিমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে । অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করেই রায় দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল, বলেই মত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের । নতুন করে রায় পর্যলোচনা করার জন্য দুটি বিষয় স্যাটের কাছে ফেরত পাঠিয়  হাইকোর্ট ।

প্রথমত, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কমর্চারীরা সমান হারে ডিএ পাবেন কিনা ? দ্বিতীয়ত, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে কর্মরত রাজ্যের কিছু সরকারি কর্মচারী, এ রাজ্যে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের থেকে বেশি হারে মহার্ঘ ভাতা পান । ফলে একই পদে কাজ করা সত্ত্বেও তৈরি হচ্ছে বেতন বৈষম্য । এক্ষেত্রে প্রশ্ন তাদের সমানহারে ডিএ কি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ?


গত  ১৪ নভেম্বরে রাজ্য সরকার স্যাটে জানায়, আরও সময় চেয়ে তারা  হাইকোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন করেছে।  কিন্তু এবিষয়ে আর কিছুই জানায়নি রাজ্য। গত ১৯ নভেম্বর স্টেট অ্যাডিমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট জানিয়ে দেয়, রিভিউ পিটিশনের অর্ডার কী হল, ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে। ফের স্পেশাল বেঞ্চে  রাজ্য সরকার আবেদন করে।  কিন্তু রাজ্য সরকারের আবেদনে এবিষয়ে কিছু প্রক্রিয়াগত ক্রুটি রয়েছে বলে সোমবার জানিয়ে দেয় বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরফের ডিভিশন বেঞ্চ। ক্রটি সংশোধন করে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফের আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।