নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষ তিনটি দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার পক্ষে সওয়াল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কোভিডের (COVID-19) কারণে তৃণমূল নেত্রীর আহ্বান, এক দফাতেই সারা হোক ভোটগ্রহণ। তবে গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উপরেই ছাড়লেন অমিত শাহ (Amit Shah)।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূল গতকালই দাবি করেছে, শেষ দফার নির্বাচন একসঙ্গে চায় তারা। মোদী ও শাহ কি চান? টুইট করেছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien)। এ দিন সরাসরি 'হ্যাঁ' বা 'না' বললেন না শাহ (Amit Shah)। বরং নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কোর্টেই বল ঠেললেন। কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায়ের (Mukul Roy) রোড শোয়ের মাঝে  Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে শাহ (Amit Shah) বলেন,'এই বিষয়ে আমার কিছু বলার কিছু নেই। নির্বাচন যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে নেব।'
 


রাজ্যে যে হারে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে একসঙ্গে তিনটি দফার ভোটগ্রহণের জল্পনা ছড়ায়। তবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়েছিল, এক দফায় ভোটের জন্য যত বাহিনী দরকার, তা নেই রাজ্যে। বাড়তি বাহিনী আনার মতো হাতে সময় নেই। আর বাহিনী ছাড়া কমিশন যে ভোট করাতে চায় না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি ভেবে দেখার আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকালই তিনি টুইট করেন,'অতিমারির মধ্যে ৮ দফায় বাংলায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তার তীব্র বিরোধিতা করছি। কোভিড-১৯ সংক্রমিত ক্রমশ বাড়ছে, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, বাকি দফাগুলি একসঙ্গে করার কথা বিবেচনা করে দেখা হোক। এতে কোভিড সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারবেন মানুষ।'      



তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইটারে লেখেন,'তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট। জীবব বাঁচাতে এক দফায় নির্বাচন চাই। বিজেপি ক'দফা চায়? এক, দুই, তিন অথবা চার? তারা জানাক।'  




এ দিন রোড শোয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, বড় ব্যবধানে জিততে চলেছেন মুকুল রায়। শীতলকুচির ঘটনার পর শাহকে আক্রমণ শানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এনিয়ে শাহ বলেন,'বাংলায় অব্যবস্থা নিয়ে কিছুই বলছেন না। আমাকে নিয়ে বললে ওঁর ভোট বাড়বে না।'


আরও পড়ুন- WB Assembly Election 2021: শীতলকুচিকাণ্ডের তদন্তভার নিল CID, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের