নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে শেষ তিন দফার ভোট এক দফায় সেরে ফেলা সম্ভব নয়। তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) সাফ জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তারা জানাল, গত বিধানসভা ভোটের চেয়ে এবার ভোটপ্রক্রিয়া কম দিনে সেরে ফেলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ৩২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বুথের সংখ্যা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) দরবার করেছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien)। সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করল কমিশন (Election Commission)। চলতি ভোটপ্রক্রিয়ায় ৮ দফা হলেও গত বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে বলে দাবি করল তারা। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) বক্তব্য, ২০২১ সালে সালের তুলনায় ভোটপ্রক্রিয়ার দিনসংখ্যা কমে হয়েছে ৬৬। ২০১৬ সালের চেয়ে ১১ দিন কম। গত বিধানসভা ভোটের তুলনায় ৩২% বৃদ্ধি পেয়েছে পোলিং বুথ।


এর পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তারা জানিয়েছে, ভোটগ্রহণের  ৭২ ঘণ্টা আগে সেরে ফেলতে হবে প্রচার। সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে না। কোভিডবিধি যাতে মেনে চলা হয়, সেজন্য মুখ্যসচিব, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


নির্বাচন নির্ঘণ্ট নানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে স্থির করা হয়, চাইলেই বদল করা যায় না বলে বুঝিয়ে দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। তাদের বক্তব্য,লোকবল, প্রশিক্ষণ, পরিবহণ ব্যবস্থা, উৎসব, ভোটারদের সুবিধা-অসুবিধা ও  আইনশৃঙ্খলা খতিয়ে দেখে আগেভাগে নির্ঘণ্ট স্থির করা হয়। এটা অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। নির্বাচনের দিন থেকে ১৪ দিন আগে নোটিফিকেশন জারি করতে হয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১) অনুযায়ী, প্রতিটি দফার ক্ষেত্রেই তা করতে হবে। আপনার ৫২ দিনের প্রচারপর্বের দাবি বিভ্রান্তিমূলক ও আইনের পরিপন্থী। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করার ভাবনাটি তাই বাস্তবসম্মত নয়।    


আরও পড়ুন- কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কামারহাটির TMC প্রার্থী Madan Mitra