নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্বিতীয় দফার ভোটের পর বাংলার ভোটপ্রচারে নিজের ইমেজকে বাজি রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুঝিয়ে দিলেন, প্রচার করেই শুধু দায় শেষ হচ্ছে না। বরং দিল্লি থেকেই নজর রাখবেন রাজ্যে। বাংলায় যিনিই বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হোন, 'অভিভাবক' হবেন তিনিই। সরকারি কর্মীদেরও কাজ শুরু করার বার্তা দিলেন আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভার ভোটে মোদী (Modi) বনাম মমতা (Mamata) আঙ্গিকে লড়াই হয়েছিল। তবে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল নেত্রীর সরাসরি প্রতিপক্ষ নন প্রধানমন্ত্রী। বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির মুখ নেই। সেই বিষয়টি তুলে ধরে প্রচারও করছে তৃণমূল (TMC)। শনিবার মমতার বিরুদ্ধে আরও একবার নিজেকেই রাখার চেষ্টার করলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। জানিয়ে দিলেন, দিল্লি থেকে বাংলার উন্নয়নযজ্ঞে টাকা পাঠাবেন তিনিই। এ দিন হরিপালের জনসভায় নমো বলেন,'বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণে আমি আসব। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, ভাই দিল্লি থেকে টাকা পাঠাব। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই কিষান সম্মান নিধি লাগু করুন। বাংলার প্রতিটা কৃষককে বকেয়া টাকা-সহ ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হবে।'


সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তাঁর আশ্বাস,'১০ বছর সরকার ঘুমিয়ে পড়েছিল। নতুন সরকার আসার পর সরকারি ব্যবস্থা সক্রিয় করতে সময় লাগবে। দুর্গাপুজোর আগে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। ১০ বছর যা ধ্বংস হওয়ার হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তার জবাব দেওয়ার সময় কাছে এসে গিয়েছে।'


সরকারি কর্মীদেরও বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ১০ বছরে যা ধ্বংস হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এবার বাংলার মানুষের সেবা করার সময় এসে গিয়েছে। যে সব জায়গায় ভোটগ্রহণ শেষ সেখানকার তালিকা করতে শুরু করে দিন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আধার কার্ড মিলিয়ে নিন। যাতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দ্রুত টাকা দেওয়ার শুরু করা যায়।'  


আরও পড়ুন- 'ISFকে ভোট দেওয়া মানেই BJPকে ভোট', ওয়াইসি ‘বিজেপির বন্ধু’, রায়দিঘির সভায় কটাক্ষ মমতার