নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট মিটে গিয়েছে দ্বিতীয় দফাতেই। কিন্তু পোস্টার ব্যালট জমা পড়েছে বিডিও অফিসের ড্রপ বক্সে!  তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগের পাওয়ার পর পুলিসি প্রহরায় পোস্টাল ব্যালটগুলি স্ট্রং রুমে পাঠানোর ব্যবস্থা করল প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের সিমলাপালে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাত পোহালেই চতুর্থ দফায় ৫ জেলার ৪৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে অবশ্য ভোট ছিল দ্বিতীয় দফায়। ওই বিধানসভা কেন্দ্রে যাঁরা ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, সেইসব সরকারি কর্মীরা যথারীতি পোস্টার ব্যালটে নিজেদের ভোট দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, ইভিএমের সঙ্গে সেই পোস্টাল ব্যালটগুলিও সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে স্ট্রং রুমে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা। বিশেষ পরিস্থিতিতে অবশ্য় পোস্টাল ব্যালট ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও জমা রাখা যায়। তাহলে বিডিও অফিসের ড্রপ বক্সে কী করে চলে এল? মুখ খুলতে চাননি প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। 


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: তৃণমূল- বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শীতলকুচি, গুরুতর আহত কর্মীরা


জানা গিয়েছে, তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরুপ চক্রবর্তী নির্বাচন অভিযোগ করেছিলেন যে, সিমলাপালে বিডিও অফিসের ড্রপবক্সে নিয়ম বর্হিভূতভাবে জমা পড়েছে পোস্টার ব্যালট। এরপরই নড়চড়ে বসে প্রশাসন। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের উপস্থিতিতে যখন ড্রপ বক্সটি খোলা হয়, তখন পোস্টাল ব্যালটের হদিশ পাওয়া যায়। ওই পোস্টাল ব্যালটে ৩৭টি ভোটও পড়েছে বলে খবর। এরপর পুলিসি প্রহরায় পোস্টাল ব্যালটগুলি পাঠিয়ে দেওয়া বাঁকুড়া খাতড়ায়, স্ট্রং রুমে। 


আরও পড়ুন: বামেদের তারকা মুখ মীনাক্ষী, অশোক ভট্টাচার্যের হয়ে প্রচারে DYFIএর রাজ‍্য সভানেত্রী


প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফায় দিন সকালে হাওড়ায় উলুবেড়িয়ায় এক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ইভিএম। সেক্টর অফিসার ও  বাড়ির মালিককে আটকে রেখে পুলিসে খবর দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিবাদে পুলিস ও বিডিও-কে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এই ঘটনায়  পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর এবং ৩ জন হোমগার্ডকে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন।