নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) ঠিক কী হয়েছিল? কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালাতে হল সিআইএসএফ-কে? শুরু থেকে আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর কথা বলে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আত্মরক্ষার তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট বলছে,হামিদুল মিঞা, মনিরুজ্জামান মিঞা ও  নুর আলম মিঞাকে ১০ মিটার দূর থেকে গুলি করা হয়েছে। সামিউল মিঞাকে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। স্বাভাবিক প্রশ্ন, এত স্বল্প দূরত্বে কেন কোমরের নীচে গুলি করতে পারল না বাহিনী?  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) মৃত্যু হয় হামিদুল, সামিউল, মনিরুজ্জামান ও নুর আলমের। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে,হামিদুল মিঞার গুলি লেগেছে পিঠে। আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হলে কেন পিছনে লাগল? সামিউল মিঞার মাথায় রয়েছে ভারী বস্তুর ক্ষতচিহ্ন। বন্দুকের বাট দিয়ে মারা হতে পারে। বুকে রয়েছে স্প্লিন্টারের আঘাতও। তাহলে তো সেখানে বোমাবাজিও হয়েছে? অথচ বাহিনী বা পুলিস সুপারের বক্তব্যে বোমাবাজির উল্লেখ মেলেনি। মাঝারি দূরত্ব (১০ মিটার) থেকে গুলি করা হয়েছে নুর আলম মিঞা ও মনিরুদ্দিন মিঞাকে। কেন কোমরের নীচে গুলি করা হল না কেন? সরাসরি শরীর লক্ষ্য করে গুলি কেন চালানো হল? 




চুম্বকে উঠছে তিনটি প্রশ্ন- 


১। হামিদুল মিঞাকে কেন পিছন থেকে মারা হল?
২। সামিউলের শরীরে কীভাবে ভারী বস্তু ও স্প্লিন্টারের আঘাত? 
৩। মাঝারি দূরত্বে কোমরে নীচে গুলি চালানো হল না কেন?  


ঘটনার দিন পুলিস সুপার ও সিআরপিএফ জানিয়েছিল, একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজব রটে। ঘটনাস্থলে ভিড় জমান ৩০০ গ্রামবাসী। তাদের হাতে ছিল বাঁশ, লাঠি। শূন্যে দু'রাউন্ড গুলি করার পরেও তারা ছত্রভঙ্গ হয়নি। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। 


আরও পড়ুন- West Bengal Election 2021: বাঁশ-লাঠি নিয়ে হামলা, অশান্তই ছিল শীতলকুচি, প্রকাশ সেদিনের ভিডিয়ো