নিজস্ব প্রতিবেদন- ভোটের বাজার। আর এখন সেই বাজার গরম করাই যেন প্রকৃত উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার রাজনীতির ময়দান। আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তৃণমূলের উপর BJP-র শাণিত আক্রমণ। কাটমানি, সিন্ডিকেট নিয়ে বারবার বিভিন্ন মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। আর এবার রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ নাড্ডার। তিনি এদিন লক্ষ্য সোনার বাংলা ক্যাম্পেন-এর সূচনা করতে এসে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন। তাঁর সেই মারাত্মক অভিযোগ ভোটের আগে রাজ্যের বিরুদ্ধে BJP-র বড় অস্ত্র হতে পারে। এদিন জেপি নাড্ডা বলেছেন, ''ডেঙ্গির রিপোর্ট বারবার চাওয়া হলেও দিতে রাজি হয়নি রাজ্য সরকার। আমরা বারবার বলছিলাম, রিপোর্ট দিন। মমতাদি এখানে ডাক্তারদের হুমকি দিচ্ছিলেন, এখান থেকে কোনও রিপোর্ট যাবে না। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল কেন্দ্রের। তাদের হাতে কোনও রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়নি। ডেঙ্গির রিপোর্ট পেতে কেন্দ্রীর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টিম পাঠিয়েছিলাম বাংলায়। করোনার সময়ও টিম পাঠিয়েছিলাম। সেই টিমের কাউকে গেস্ট হাউস থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের বলা হয়েছিল, আপনারা খেয়েদেয়ে আরাম করুন। ওঁদের তো বন্দি করে রেখেছিল মমতার সরকার। বাংলার মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে এখানকার সরকার। একবারও ডেঙ্গি, Corona নিয়ে প্রকৃত রিপোর্ট কেন্দ্রকে দেয়নি বাংলার সরকার।''


আরও পড়ুন-  JP Nadda-র সফরের আগে বোমাবাজি ভাটপাড়ায়


লক্ষ্য সোনার বাংলা। বাংলার সংস্কৃতি, গৌরবময় ইতিহাস নতুন করে তুলে ধরা হবে। বৃহস্পতিবার এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন জেপি নাড্ডা। সোনার বাংলা গড়ার এই কর্মযজ্ঞে বাংলার সাধারণ মানুষও অংশ নিতে পারবেন বলে এদিন জানান নাড্ডা। তিনি জানিয়েছেন, সোনার বাংলা গড়ার পরামর্শ দেবে বাংলার জনতা। সবাইকে সুযোগ দেওয়া হবে। পরামর্শ দেওয়ার জন্য কার্যত সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবেন BJP কর্মীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন বলেছেন, ''২ কোটি মানুষের পরামর্শ নেব আমরা। ৩০ হাজার সাজেশন বক্স সারা বাংলায় রাখা হবে। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ঘুরবে আমাদের সুসজ্জিত ট্য়াবলো। ডিজিটালি পরামর্শ দেওয়া যাবে সেখানে। এছাড়া মিসড কল নম্বর থাকবে। ৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে সোনার বাংলা ক্যাম্পেন। আসল পরিবর্তনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে বাংলার মানুষ। এই বাংলায় আয়ুস্মান ভারত লাগু হবে।  মতুয়া ও নমঃশুদ্র সমাজের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেব আমরা। তবে সবার আগে আমাদের লক্ষ্য, বাংলাকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা হবে। কাটমানির সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। গত ৬০-৭০ বছরে একের পর এক শিল্পপতি বাংলা থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে। সেই বিনিয়োগ বাংলায় আবার ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদের।''