নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশ জুড়ে অব্যাহত চাপানউতোর। দেশের বিমানবন্দর থেকে সীমান্তবর্তী অঞ্চল সর্বত্র জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। আর এই পরিস্থিতিতে ততপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। রাজ্যের ১৪ জন পাক বন্দিকে উচ্চ নিরাপত্তার সেলে স্থানান্তরিত করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সূত্রের খবর, ওই ১৪ জন পাক বন্দির নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের কর্ডন গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই ১৪ জনের মধ্যে ৪ জন বন্দি এতদিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার এবং বাকি ১০ দমদম সংশোধনাগারে ছিলেন। আপাতত আমেরিকান সেন্টার হামলায় গ্রেফতার হওয়া বন্দিদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে ওই ১৪ জনকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংশোধনাগারের আধিকারিকরা বুধবার পিটিআইকে জানায় "নিজেদের মধ্যে খারাপ ব্যবহারের কোনও অভিযোগ এই বন্দিদের মধ্য়ে নেই। কিন্তু পুলওয়ামা কাণ্ডের পর পরিস্থিতির যেভাবে পরিবর্তন হয়েছে তাতে আমরা কোনওরকম ঝুঁকি নিতে পারি না।"


আরও পড়ুন: সীমান্তে হাই অ্যালার্ট, নিরাপদ দূরত্বে সরানো হল উরির বাসিন্দাদের


পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "এদের কেউ ভিসা বিধি লঙ্ঘন করেছিলেন, কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন, কাউকে আবার অন্য সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা চলছিল। আপাতত তাঁদের প্রত্যেককেই উচ্চ নিরাপত্তার সেলে রাখা হয়েছে।" তাঁরা আরও জানিয়েছেন চিফ হেড ওয়ার্ডন সহ হেড ওয়ার্ডনরা ২৪ ঘণ্টা ওই পাক বন্দিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে কড়া নজর রেখেছে।


ওয়েস্টবেঙ্গল কারেকশনাল সার্ভিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “রাজস্থানের ঘটনার পর নির্দেশ যে, কোনও ভাবেই যেন অন্য বন্দিদের সঙ্গে পাক বন্দিদের না রাখা হয়।”কী হয়েছিল রাজস্থানে? দিন সাতেক আগেই জয়পুর সংশোধনাগারে মৃত্যু হয় এক পাকিস্তানি বন্দির। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জেলের ৩ বন্দির হাতে নির্মমভাবে প্রহৃত হন শাকির উল্লা ওরফে মহম্মদ হানিফ নামে ওই পাকিস্তানি বন্দি। চরবৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল মহম্মদ হানিফ। পরে ওই পাকিস্তানি বন্দিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।