কেন্দ্রীয় লক্ষমাত্রা ছাপিয়ে কৃষকের আয় বেড়েছে আড়াই গুণ, মোদীকে চিঠি দিলেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ২০১০-এ বাংলার কৃষকদের আয় ৯১ হাজার টাকা থেকে ২.৬ গুণ বেড়ে এখন ২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা হয়েছে। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ৭২ঘণ্টার মধ্যে কৃষকের কাছে টাকা পৌছে দেয় রাজ্য সরকার। কৃষকের আয় বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাংলা ইতিমধ্যেই অতিক্রম করেছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাত বছরে রাজ্যে কৃষকের আয় বেড়েছে আড়াই গুণ। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্যমাত্রাকে ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গেছে বাংলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সাফল্যের কথা জানিয়ে চিঠিও দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। ২০২২-এর মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা জানিয়ে ৯ মার্চ দিল্লি থেকে চিঠি আসে নবান্নে। সেই চিঠির উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীকে লিখেছেন, বাংলার ৯৫% কৃষিজমিই প্রান্তিক কৃষকের হাতে।
মমতার পাঠানো সেই চিঠি।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ২০১০-এ বাংলার কৃষকদের আয় ৯১ হাজার টাকা থেকে ২.৬ গুণ বেড়ে এখন ২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা হয়েছে। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ৭২ঘণ্টার মধ্যে কৃষকের কাছে টাকা পৌছে দেয় রাজ্য সরকার। কৃষকের আয় বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাংলা ইতিমধ্যেই অতিক্রম করেছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষি বাজারের উন্নয়নে সরকার আইন সংশোধন করায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন বলেও দাবি মমতার।
আরও পড়ুন- টার্গেট ২০১৯, বিরোধী জোটের ভিত গড়তে দিল্লিতে মমতা
সোমবারই ফসলের দাম না পেয়ে বিজেপি-শাসিত মহারাষ্ট্রের বুলধনা জেলার ৯১ জন কৃষক রাজ্যপালের কাছে নিষ্কৃতি মৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে কৃষকদের এই দুরবস্থা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কাছে বড় ইস্যু। রাজনৈতিক মহল বলছে, এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চাইছেন, সারা দেশের তুলনায় কৃষকরা বাংলায় ভাল আছেন।