নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রবল গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। এখনও রাজ্যে তীব্র তাপববাহ ও গরম অব্যাহত। আর এরই জেরে প্রাইমারি স্কুলে ১ ঘন্টা সময়সীমা কমানো হল। এই নির্দেশিকা জারি করল পূর্ব বর্ধমান  জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। বুধবার থেকেই কার্যকরী হবে এই  নির্দেশিকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী জানান হয়েছে সেই নির্দেশিকায়? 


সকাল ১১.৩০ বদলে এক ঘন্টা আগে অর্থাৎ সকাল ১০.৩০ শেষ হবে স্কুল।


*সকালে স্কুল চললেও তা নির্দিষ্ট ছিল সকাল সাড়ে এগারো পর্যন্ত। মঙ্গলবার জারি হল নতুন নির্দেশিকা।* 


নির্দেশিকায় এও জানানো হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকাল ১০.৩০ পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে। সোম থেকে শুক্রবার সকাল ৬.৩০ থেকে ১০.৩০ পর্যন্ত এবং শনিবার ৬.৩০ থেকে ৯.০০ পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে। সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলোকেও দুপুরের বদলে সকালে স্কুল খোলা রাখার  আবেদন জেলা স্কুল প্রাথমিক সংসদের। এছাড়াও স্কুলগুলিকে পর্যাপ্ত পানীয় জল রাখার আবেদন  জানানো স্কুল শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে ।


কলকাতা বাদ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ।  আপাতত স্বস্তির বার্তাও নেই। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, গরম চলবে আরও প্রায় এক সপ্তাহ। চলতি এপ্রিল মাসে গরম থেকে মুক্তি মেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এই পরিস্থিতিতে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে বাঁচতে গাইডলাইন জারি করল রাজ্য সরকার। 


কী বলা হয়েছে নবান্নের ‘গরম’ গাইডলাইনে? কী করবেন, কী করবেন না, জেনে নিন:


নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল খান।
সব সময় জলের বোতল সঙ্গে রাখুন।
রোদে বেরনোর সময় হাল্কা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
মাথা সব সময় ঢেকে রাখুন, ছাতা ব্যবহার করুন।
হাল্কা, সহজপাচ্য খাবার খান।
শসা, তরমুজের মতো ফল বেশি খান।
বাড়িতে তৈরি লেবুজল, শরবত খান।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা খেয়াল রাখুন।
অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিত্সক বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিন।
যতটা পারবেন কড়া রোদে বেরবেন না।
দিনের কড়া রোদে বেশি কষ্টসাধ্য কাজ না করা উচিত।
শিশুদের বন্ধ গাড়িতে একা ফেলে যাবেন না।
বেশি প্রোটিনযুক্ত এবং মশলাদার খাবার খাবেন না।
পোষ্যদের ছায়ায় রাখুন, তাদেরও বেশি জল খাওয়ান।
ঘর ঠান্ডা রাখতে পর্দা, খসখসের মতো জিনিস ব্যবহার করুন।