নিজস্ব প্রতিবেদন : সৌদিতে কাজ করতে গিয়ে অমানুষিক অত্যাচরের শিকার রাজ্যের শ্রমিক। ভিসা, পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার বাঁদগাছা গ্রামের ‌যুবক সেখ কিরণকে। চরম উৎকন্ঠায় থাকা বাবা মহবুদুল হক এখন ছেলেকে ফেরাতে জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর চব্বিশের সেখ কিরণ চাষের কাজই করতো। নিম্নবিত্ত পরিবার। আয়ের প্রধান উৎস চাষবাস। এভাবেই চলছিল। এসর মধ্যেই পরিচয় হয় বর্ধমানের খণ্ডঘোষের গুইর গ্রামের এক এজেন্টের সঙ্গে। তিনিই বলেন, সৌদিতে কিরণকে মাটি কাটার মেসিন চালানোর কাজ পাইয়ে দেবেন। সে আশাতেই কিরণ ওই এজেন্টকে ২ লাখ টাকা দেন।


সৌদিতে গেলে মোটা আয়ে সংসারের হাল ফিরবে ভেবে বাড়ির লোকজনও ওই টাকা দিতে দ্বিধা বোঝ করেননি। কিন্তু সৌদিতে পৌঁছে ভুল ভাঙে কিরনের। মাটি কাটার মেসিন চালানোর কাজ তো দেওয়া তো দূরের কথা তাকে সেন্টারিং মিস্ত্রির কাজ দেওয়া হয়।


সেন্টারিং মিস্ত্রির কাজ পেয়ে কোনও রকমে টিকে থাকার চেষ্টা করছিলেন কিরণ। কিন্তু কাজ ঠিকঠাক করতে না জানায় তার উপরে শুরু হয় অত্যাচার। আটকেও রাখা হয়। সম্প্রতি কিরণ লুকিয়ে বাড়িতে ফোন করে তার উপরে অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন। তার পর থেকেই ঘুম ছুটে গিয়েছে কিরণের পরিবারে। ছেলেকে দেশে ফেরাতে দরজায় দরজায় ঘুরছেন বাবা মহবুদুল হক। লিখিতভাবে আবেদন করেছেন জেলা শাসক ও জেলা পুলিস সুপারের কাছে। এখন প্রতিটি দিন উৎকন্ঠায় কাটছে কিরণের পরিবারে।


আরও পড়ুন-হলিউডকে টেনে বিজেপিকে বিঁধলেন রাহুল