রাস্তার দু`ধারে পড়ে পশুর দেহ, দুর্গন্ধে ভরেছে এলাকা! ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি রাজ্যের এই জেলার
ফলে বাসন্তী রাজ্য সড়কের পাশে.বৈরামপুর মো়ড়ে কিংবা ফাঁকা জায়গায়, রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে গবাদি পশু মৃতদেহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাস্তার মোড়ে পা দিলেই নাকে ভেসে আসবে কটু গন্ধ। নাকে আপনা থেকেই উঠে আসবে রুমাল। মশা-মাছির দাপটে যে কোনও সময়ে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। হবে নাই বা কেন? এলাকায় ভাগাড় নেই। ফলে বাসন্তী রাজ্য সড়কের পাশে.বৈরামপুর মো়ড়ে কিংবা ফাঁকা জায়গায়, রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে গবাদি পশু মৃতদেহ।
মূলত ভাঙড়ের বিভিন্ন খাটালের পশুর দেহ ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ ভাঙড়ের নারায়নপুর অঞ্চলের বাসিন্দাদের একাংশের। ভাঙড় ১ নাম্বার ব্লক এলাকার মধ্যে নারায়ণপুর অঞ্চল। এই এলাকায় ছোটো বড় প্রায় কয়েকশো পশু খাটাল আছে। নারায়ণপুর অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে বাসন্তী রাজ্য সড়ক। ওই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ পশু পালন তথা খাটাল ব্যাবসার উপরে নির্ভর করেন।
ফলে, গরু, মোষ-সহ গবাদি পশু পালন করা হয় ঘরে-ঘরে। এলাকাবাসী জানান, গবাদি পশু মারা গেলে দেহ ফাঁকা মাঠে বা মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। অনেক সময়ে, রাস্তার পাশে মৃত পশু দেহের স্তূপ জমে। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাড়ছে জল-দূষণও। জনস্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে ভাঙড়ের জনপ্রতিনিধি কাইজার আহমেদ জানান, বিষয়টি নজরে এসেছে পঞ্চায়েতকে বলা হয়েছে মৃত পশু রাস্তার পাশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। আর যারা রাস্তার পাশে গবাদিপশু ফলে পরিবেশ দূষিত করছে প্রশাসনকে বলেছি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙড় ১ নাম্বার ব্লকের বিডিও দীব্যমান মজুমদার বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে এলাকায় যাতে পরিবেশ দূষীত না হয় তার জন্য পঞ্চায়েতকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।