নিজস্ব প্রতিবেদন : রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট। সোমবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে যাবে ভোটগ্রহণ। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জেলায় জেলায় এদিন চলল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবারের সকালে গ্রাম বাংলার চেনা ভোর হয়ে উঠল অচেনা। মেঠো রাস্তায় ভারী বুটের আওয়াজে ঘুম ভাঙল গ্রাম বাংলার মানুষ। জেলায় জেলায় পৌঁছে গেছে ভিন রাজ্যের বাহিনী। এদিন ভোর থেকেই এলাকায় এলাকায় রুটমার্চ শুরু করে বাহিনী। ইনসাস, একে-৪৭ হাতে গ্রামে গ্রামে চলে টহলদারি। ভোটে হিংসা, অশান্তি রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না প্রশাসন।


প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হল নিরাপত্তা। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে তবেই ভোটে যাওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকারের নিরাপত্তার আয়োজনের উপর আস্থা রেখে ১৪ মে-ই একদফায় পঞ্চায়েত ভোট চূড়ান্ত করে কমিশন।


সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে বিরোধীরা বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি জানালেও, রাজ্য সরকারের তরফে সে দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়। বরং দাবি করা হয়, পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় রাজ্যের হাতে মোট যে পুলিস আছে, তা-ই যথেষ্ট।উল্লেখ্য, এবারই প্রথম ভোটে কারারক্ষী, আবগারি কর্মী, বনরক্ষী, হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতদিন যাঁরা বন সামলেছেন, তাঁরাই এবার বুথ সামলাবেন। যদিও তাতে এতটুকু দমছেন না বনরক্ষীরা। রীতিমত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করলেন, তাঁদের অনেকরই অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ রয়েছে। অন্যদিকে, একদা মাওবাদী এলাকা বলে পরিচিত ঝাড়গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে মাওবাদী দমনে বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী। বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারি, কেশপুর, গড়বেতা প্রভৃতি অঞ্চলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির জন্যও।


এদিন সকাল থেকেই গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন বিভিন্ন জেলার পুলিসকর্তারা। চলে কনফিডেন্স বিল্ডিং। শান্তিতে, নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষদের আশ্বস্ত করেন তাঁরা। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ব্যালট বক্স ও ব্যালট পেপার নিয়ে নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন ভোটকর্মীরা। অস্ত্র, লাঠি হাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে সশস্ত্র পুলিস ও লাঠিধারী বাহিনী। পাশাপাশি নবান্নে খোলা হয়েছে ইলেকশন সেল। একইসঙ্গে কমিশনেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সোমবার সেখান থেকেই রাজ্যজুড়ে ভোটপ্রক্রিয়ায় নজরদারি চালানো হবে।


আরও পড়ুন, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোটের জন্য মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের


সবমিলিয়ে সোমবার একদিকে যেমন প্রশাসন ও কমিশনের সামনে অ্যাসিড টেস্ট। ঠিক তেমনই, ভোটকর্মীদের সামনেও সুষ্ঠু ভোট করানোর বড় চ্যালেঞ্জ।