নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই পঞ্চায়েতে একদফায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব। একইসঙ্গে তিনি জানান, একদফায় ভোটগ্রহণ হলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েতে একদফায় ভোটগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য তোপ দাগেন, ভোটের নামে প্রহসন চলছে। একদফাতেই যদি পঞ্চায়েত ভোট হয়, তবে কমিশন প্রথমে তিন দফায় ভোটগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন? নির্বাচন কমিশনার রাজ্য সরকারি আধিকারিক হয়ে গেছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।


আরও পড়ুন, চূড়ান্ত পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট, ভোট একদফাতেই, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা


একদফায় ভোটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটা উঠছে, তা হল নিরাপত্তা। উল্লেখ্য, রাজ্য মোট পুলিসকর্মীর সংখ্যা ৫৮ হাজার। তারমধ্যে সশস্ত্র পুলিসকর্মীর সংখ্যা ৪৬ হাজার, বাকি লাঠিধারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৫৮,৪৬৭টি। বিজেপির তরফে পঞ্চায়েত মামলাকারী প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, "রাজ্যের সব থানায় তালা ঝুলিয়ে পুলিস কি শুধু বুথ পাহারা দেবে?" ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার করা হবে কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি: ভোট ১৪ মে, ফল ১৭ মে


কমিশন সচিব দাবি করেছেন, একদফায় ভোটের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারও তাদের যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে। স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথগুলিতে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য। তারপরই একদফায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। তবে একদফায় ভোট হলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।