নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে। একদফায় ১৪ মে ভোটগ্রহণের দিন স্থির হয়েছে। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই, সবচেয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে নিরাপত্তা বিষয়ে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধীরা। পাশাপাশি নিরাপত্তা ইস্যুতে এদিন আদালতের দ্বারস্থ হন সরকারী কর্মচারীদের একাংশও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন হাইকোর্টে মূলত ২টি মামলা ওঠে। সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করেই, বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নির্দেশ না মেনেই, একতরফাভাবে ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। আদালতে এদিন অভিযোগ জানাল বামেরা। একই ইস্যুতে মামলা দায়ের করেছে পিডিএসও। বিরোধীদের অভিযোগ শোনার পর সোমবার ফের শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারপতি। যদিও কমিশনের প্রতিনিধি নীলাঞ্জন শান্ডিল্য এদিন আদালতে দাবি করেন, সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই দিন স্থির হয়েছে। সুরক্ষা ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে কথা চলছে।


আরও পড়ুন, চূড়ান্ত পঞ্চায়েত নির্ঘণ্ট, ভোট একদফাতেই, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা


অন্যদিকে, এদিন হাইকোর্টে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলাটির শুনানি হয় সরকারি কর্মচারীদের একাংশের দাবির প্রেক্ষিতে। পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। ভোটের ডিউটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মিলবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। আদালতে তাঁরা দাবি জানান, ভোটে আধাসেনা মোতায়েনের জন্য। এজলাসে উপস্থিত এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা তখন আদালতকে জানান, রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে। বাহিনীর সংখ্যা বুথের থেকে বেশি বলেও দাবি করেন তিনি।


আরও পড়ুন, রাজ্যের কাছ থেকে যথাযথ নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েই একদফায় ভোট : কমিশন সচিব


এরপরই পঞ্চায়েত ভোটে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে রাজ্য ও কমিশন কী পদক্ষেপ করছে, তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। ৪ মে-র মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রিপোর্টে রাজ্য ও কমিশনকে বুথের সংখ্যা, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য পৃথক পৃথকভাবে আদালতকে জানাতে হবে। ওয়াকিফহাল মহলের মত, ৪ মে রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই ভোটে আধাসেনা মোতায়েন নিয়ে আদালত নির্দেশিকা জারি করতে পারে।