নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতে কাটারি, কাঁধে বন্দুক। অস্ত্র উঁচিয়ে বুথের বাইরে উন্মত্ত দাপাদাপি। শ’খানেক বহিরাগতের দখলে পঞ্চায়েত পুনর্নির্বাচনের বুথ। এরপর ব্যালট বাক্স কাঁধে তুলে প্রকাশ্যে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এতকিছু ঘটে গেলেও দুষ্কৃতীদের ভয়ে এলাকাতেই ঢুকতে পারল না পুলিস। বুধবার পুনর্নির্বাচনের দিন মালদার রতুয়ায় মাস্কেটবাহিনীর এমন তাণ্ডব দেখে গৃহবন্দি হয়েছেন গ্রামবাসীরাও। দুঃসাহসিক এই ঘটনার ছবি ধরা পড়ল জি ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



মালদার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি বুথে বুধবার পুনর্নির্বাচন হওয়ার কথা। এরমধ্যে বাঁখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৯ নম্বর বুথে এদিন সকালে কোনও পোলিং এজেন্টই পৌঁছননি। ফলে ভোটাররা পৌঁছলেও বেলা পর্যন্ত ভোট করানো সম্ভব হয়নি। এরপর বেলা এগারোটার পর আমচকাই রতুয়া ব্লকের বিভিন্ন বুথের সামনে অস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীরা জড়ো হতে থাকে। প্রায় শ’খানেক দুষ্কৃতী কাঁধে বন্দুক, হাতে কাটারি নিয়ে গোটা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বুথ থেকে ব্যালট বাক্স কাঁধে তুলে এলাকা ছাড়ে তারা। সশস্ত্র পুলিস তো দূরের কথা, এলাকায় চোখে পড়ে না কোনও পুলিসকর্মীকে। কেউ গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করলে চলে এলোপাথাড়ি বোমা, গুলি। জানা যাচ্ছে, মাস্কেটবাহিনীর তাণ্ডবের ভয়েই এলাকায় ঢুকতেই পারেনি পুলিস। 


সূত্রের খবর, রাজনৈতিক দলের নেতারা ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতী ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। সন্ত্রাস ছড়ানোর রূপরেখা না কি তৈরি ছিল আগে থেকেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী নদীপথে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রামে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে আগে থেকে পুলিস প্রশাসনকে একাধিকবার সতর্কও করা হয়েছিল বলে খবর। তবে পুলিসের তরফে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।